Barak UpdatesHappeningsCultureBreaking News
নানা কর্মসূচিতে ভাবীকালের বিশ্ব নাট্য দিবস উদযাপন
ওয়েটুবরাক, ২৭ মার্চঃ নাটক-গান-কবিতা-আলোচনায় বিশ্ব নাট্য দিবস উদযাপন করল শিলচরের ভাবীকাল। দাস কলোনিতে আয়োজিত ছোট্ট ছিমছাম অনুষ্ঠান শহরের নাট্যমোদীদের বহু ভাবনার খোরাক জুগিয়ে দিল। প্রধান বক্তা আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শিবশঙ্কর মজুমদার শিলচরে সম্মিলিত নাট্য মঞ্চ তৈরির এবং নিয়মিত নাটকের কাগজ প্রকাশের পরামর্শ দেন। বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের শিলচর শহর আঞ্চলিক সমিতির সভাপতি সব্যসাচী পুরকায়স্থ প্রস্তাব রাখেন ফুটবলার-ক্রিকেটারের মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বার্ষিক রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম চালু হোক।
ইদানীং বরাক উপত্যকার তরুণদের মধ্যে যে নাট্য উৎসাহ দেখা দিয়েছে, তাতে নাট্যব্যক্তিত্ব বিশ্বজিৎ শীল সন্তোষ প্রকাশ করেন। তরুণরাই যে প্রকৃত অর্থে আশার আলো, তা গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন ভাবীকালের নির্দেশক শান্তনু পাল। উদাহরণ টানেন নেহালকুমার ভট্টাচার্য, কাবেরি রায়দের কথা। এরা শিলচর থেকে গিয়ে বাইরের প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক নিয়ে স্নাতকোত্তর করছেন। দুইজনকেই এ বার সংবর্ধিত করার কথা জানান শান্তনুবাবু। নেহালের সংবর্ধনা আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রহণ করেন তাঁর মা-বাবা। কাবেরির সংবর্ধনা সামগ্রী তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। সংবর্ধিত করা হয় অনুষ্ঠান চলাকালে ক্যানভাসে বিশ্ব নাট্য দিবসের ভাবনা ফুটিয়ে তোলা শিল্পী উত্তম মোদক এবং শিলচর দূরদর্শনের প্রোগ্রাম এগজিকিউটিভ সংহিতা ভট্টাচার্যকেও।
বিশ্ব নাট্য দিবসের অনুষ্ঠান বলে ভাবীকাল নাটক দিয়েই এই দিনের কর্মসূচি শুরু করে। তাদের প্রশিক্ষার্থীরা মঞ্চস্থ করে নাটক ‘মোবাইল’। কবিতা আবৃত্তি করেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সেঁজুতি বাগচি ও নেতাজি বিদ্যাভবনের অধ্যক্ষ দেবাঞ্জন মুখোপাধ্যায়। গান গেয়ে শোনান সায়ন রায়৷
শেষে অনুষ্ঠিত হয় যেমন খুশি সাজো। শিল্পীদের সঙ্গে হাসিখুশিতে একে প্রাণবন্ত করে তোলেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক ড. গণেশ নন্দী ও সাংবাদিক উত্তমকুমার সাহা। অনুষ্ঠানে নাট্য দিবসের আন্তর্জাতিক বার্তা পাঠ করে শোনান ভাবীকালের সভাপতি রঞ্জন দাস।