Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ক্যানসার হাসপাতালে ডা. প্রণতি ধরকে স্মরণ
ওয়েটুবরাক, ২৩ জুলাই : কাছাড় ক্যান্সার হাসপাতাল সোসাইটির প্রবীণ সদস্যা ডা: প্রণতি ধরের প্রয়াণে আজ শনিবার হাসপাতালে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সোসাইটির সভাপতি ডা. সুজিৎকুমার নন্দীপুরকায়স্থ তাতে পৌরোহিত্য করেন৷ সদ্যপ্রয়াতা ডা. ধরকে স্মরণ করতে গিয়ে সব বক্তাই বলেন, তিনি ছিলেন ক্যান্সার হাসপাতালের প্রতিটি কর্মীর আপনজন৷ আসাম সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত সঞ্চালকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করে অবসর নিলেও তিনি সকলের সঙ্গে তাঁদের মতো করে মিশতে পারতেন৷ ডা. ধর ছিলেন এই অঞ্চলের প্রথম মহিলা প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ৷
সোসাইটির যুগ্ম সচিব মালবিকা সেন বলেন, “তাঁর হাতেই আমার জন্ম৷ তাই তিনি ছিলেন আমার মায়ের মতো৷ তাঁর সংস্পর্শে এলেই আমি মাতৃস্নেহ টের পেতাম৷” শুধু মালবিকা নন, তিনি স্নেহপরশে বেঁধে রেখেছিলেন প্রত্যেককে৷ সোসাইটির সদস্য, হাসপাতাল কর্মী তো বটেই, রোগী এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও ভরসার স্থল ছিলেন তিনি৷ ডা. সত্য ভট্টাচার্য, ডা. সুজিৎকুমার নন্দীপুরকায়স্থ বলেন, “ডিব্রুগড় মেডিক্যাল কলেজে তিনি ছিলেন আমাদের সিনিয়র৷ দিদির মতোই তিনি সকলের সবকিছু খেয়াল রাখতেন৷” কাছাড় ক্যান্সার হাসপাতালের ডিরেক্টর ডা. রবি কান্নান বললেন, “আমার পিতার মৃত্যুর পর তিনি যে ভাবে মাকে নিয়মিত সঙ্গ দিয়েছেন, আমাদের মনোবল জুগিয়েছেন, তা চিরদিন স্মৃতিতে জাগরুক থাকবে৷”
কল্যাণ চক্রবর্তী জানান, তিনি হাসপাতালে নিজে রান্না করে খেতেন বলে ‘প্রণতিদি’ প্রায় নিয়মিত তাঁর জন্য বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার পাঠাতেন৷ সোসাইটির প্রাক্তন সভাপতি ডা. কেপি চক্রবর্তী, সচিব নীলমাধব দাস, অধ্যাপক দিলীপকুমার দে, অধ্যাপক ডিপি রায়, অধ্যাপক পরিতোষচন্দ্র দত্ত, সুরজিৎ সোম প্রমুখ ডা. প্রণতি ধরের সঙ্গে তাঁদের নানা স্মৃতিখণ্ড তুলে ধরেন৷ সোসাইটির তরফে শোকবার্তা পাঠের পর একমিনিট নীরবতা পালন করে উপস্থিত সবাই প্রয়াতা ধরের আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন৷