Barak UpdatesHappeningsCultureBreaking News
কলকাতার পর ‘হৃদমাঝারে’-র সাহিত্য অনুষ্ঠান শিলচরেও
ওয়েটুবরাক, ১৬ মে : রবিবার এক ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানই হল শিলচরে৷ ফেসবুক গ্রুপ হিসাবে ২০১৮-র অক্টোবরে জন্ম নিয়েছিল ‘হৃদমাঝারে’৷ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান অ্যাডমিন শর্মি দে শিলচর থেকে গ্রুপটি পরিচালনা করলেও তাতে যুক্ত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কবি, গল্পকার, প্রাবন্ধিকরা৷ রয়েছেন বাংলাদেশের সাহিত্যিকরাও৷
গত সাড়ে তিন বছরে ওই গ্রুপে প্রচুর গল্প-কবিতা প্রকাশিত হয়েছে, এর পরই হৃদমাঝারে সাহিত্য পরিবার উদ্যোগ নিয়েছে গ্রন্থ প্রকাশের৷ শর্মি দে, উজ্জ্বল দত্তচৌধুরী, শুভজিৎ দাস দাঁ ও মীরা পালকে নিয়ে গঠিত হয় সম্পাদক মণ্ডলী৷ প্রকাশিত হয় ‘হৃদিকথা’৷ গ্রন্থটি প্রথমে কলকাতায় আনুষ্ঠানিক ভাবে উন্মোচিত হয়৷ সে উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গল্প-কবিতা পাঠ হয়৷ হৃদভাবনায় মনোনীতদের দেওয়া হয় ‘হৃদমাঝারে রত্ন’৷ লেখকদেরও সম্মাননা প্রদান করা হয়৷ রবিবার কলকাতার অনুষ্ঠানেরই অনুরূপ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয় শিলচরে৷ হৃদমাঝারে সাহিত্য পরিবারের সভাপতি, মুখ্য উপদেষ্টা উজ্জ্বল দত্তচৌধুরী প্রাকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে এখানে ছুটে এসেছেন৷ সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কবি-সাহিত্যিক সুপ্রদীপ দত্তরায়। অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কবি চন্দ্রিমা দত্ত, সাহিত্যিক গৌরী দত্তবিশ্বাস, কবি মহুয়া চৌধুরী এবং কবি বিশ্বতোষ চৌধুরী৷ তাঁরাই ‘হৃদিকথা’-কে এখানকার দর্শক, শ্রোতা, পাঠকদের উদ্দেশে তুলে ধরেন এবং এমন উদ্যোগের জন্য ‘হৃদমাঝারে সাহিত্য পরিবার’কে সাধুবাদ জানান৷
এর আগে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিপ্রা দাশ, মীরা পাল, রিঙ্কু পাল চৌধুরী এবং সপ্তমিতা নাথ। শিলচরের অনুষ্ঠানেও ‘হৃদমাঝারে রত্ন’ প্রদান করা হয়৷ এই বিশেষ সম্মানের জন্য মনোনীত হয়েছেন সুপ্রদীপ দত্ত রায়৷ তাঁর হাতে যৌথভাবে এই সম্মাননা তুলে দেন শর্মি দে এবং উজ্জ্বল দত্তচৌধুরী৷ তাঁরা বলেন, ”একজন কবিকে তাঁর ভাবনার ডানা মেলতে মুক্ত আকাশে ছেড়ে দিতে হয়। মুক্ত আঙিনায় তাঁকে ভাবনার রসধারা ছড়িয়ে দিতে হয় পূর্ণ অধিকারে। সেই অধিকারে ‘হৃদমাঝারে’ মেলে দিয়েছে তার গভীরতা, যেখানে কবিরা ইচ্ছে মতন ডানা মেলে ওড়েন আর সেখান থেকে রত্ন আকর তুলে নিয়ে ‘হৃদমাঝারে রত্ন’ উপাধিতে ভূষিত হন।
পরে লেখনী সম্মাননা প্রদান করা হয় অনন্যা ভট্টাচার্য, সুশান্ত মোহন চট্টোপাধ্যায়, জয়শ্রী ভট্টাচার্য, মমতা চক্রবর্তী, তাপস পাল, চন্দ্রিমা দত্ত, দোলনচাঁপা দাসপাল, গোপাল চক্রবর্তী, শিপ্রা দাশ, সপ্তমিতা নাথ, জয়ন্তী দত্ত, সুপ্রদীপ দত্তরায়, সুপ্রতিম ভৌমিক, আলোশিখা গোপ, সুশান্ত ভট্টাচার্য, পম্পা ভট্টাচার্য, শতদল আচার্য, নবনীতা কর, শাশ্বতী ভট্টাচার্য, শর্মিলী দেবকানুনগো, দিলীপ দাশ, বিশ্বরাজ ভট্টাচার্য, ফুজাইল আহমেদ রাজ এবং তাহের উদ্দিন লস্করকে৷ তাঁদের কয়েকজন অবশ্য রবিবারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি৷
এ দিন কবিতা পাঠ করেন নিম্মি চক্রবর্তী, শান্তনু স্বরূপ রায়, কবি দোলনচাঁপা দাসপাল, আদিমা মজুমদার, রবিশঙ্কর ভট্টাচার্য, হাসনা আরা শেলী, সৃষ্টি মজুমদার, রাজীব ভট্টাচার্য, চন্দ্রিমা দত্ত, দেবলীনা রায়, গোপাল চক্রবর্তী ও ছন্দবীনা পাল৷ খালি গলায় উনিশের শ্রদ্ধাঞ্জলি হিসাবে একটি সঙ্গীত পরিবেশন করেন তাপস পাল৷ ছন্দবীনা পালও একখানা গান গেয়ে শোনান৷ গল্প পাঠ করেন লেখিকা মঞ্জরী রায়৷ সভাপতির ধন্যবাদ সূচক ভাষণের শেষে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। সঞ্চালনায় ছিলেন সপ্তমিতা নাথ৷