India & World UpdatesAnalyticsBreaking News
দেশের ১৭০টি জেলা রেড জোনে, তালিকায় ৬ মেট্রো সিটি170 Red Zones in India, 6 metros too marked red
১৭ এপ্রিল : করোনা প্রভাবিত দেশের ১৭০টি জেলাকে হটস্পট অর্থাৎ রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এরমধ্যে দেশের ৬টি মেট্রো সিটি দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, কলকাতা ও হায়দরাবাদকে রাখা হয়েছে। এই তালিকায় তামিলনাড়ুর সবথেকে বেশি ২২টি জেলা রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র, রাজস্থান ও অন্ধ্রপ্রদেশ। এই তিনটি রাজ্যের ১১টি করে জেলা হটস্পট জোনে রয়েছে। আবার দিল্লির ৯টি জেলাকে হটস্পট জেলা হিসেবে শামিল করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাটের পাঁচটি করে জেলা হটস্পট তালিকায় স্থান পেয়েছে।
এদিকে দেশের মোট ২০৭টি জেলাকে নন হটস্পট অর্থাৎ কমলা জোনে রাখা হয়েছে। গ্রিন জোন অর্থাৎ যেখানে কোনও সংক্রমণ নেই, এমন ৩৫৯ জেলাকে তালিকায় রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক হটস্পট অর্থাৎ রেড জোনে এমন জেলাগুলোকে রেখেছে, যেখানে দেশের বা রাজ্যের ৮০ শতাংশের বেশি পজিটিভ আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এর পাশাপাশি এমন স্থান যেখানে সংক্রমনের হার বেশি এবং চারদিনের কম সময়েই আক্রান্তের সংখ্যা আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে, সেই জেলাগুলো হটস্পট তালিকায় রয়েছে। আবার যে সমস্ত স্থানে ২৮ দিনের মধ্যে কোনও সংক্রমণ হয়নি, সেই জেলাগুলোকে গ্রিন জোনে রাখা হয়েছে।
দেশের ২০৭টি এমন জেলা রয়েছে, যেখানে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা খুব বেশি। সেই জেলাগুলোতে মন্ত্রক এবং চিকিৎসকদের দল সবসময় নজর রাখবে। কেন্দ্র সরকার অবশ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছে, যে জেলাগুলো হটস্পট তালিকায় নয়, সেখানে ২০ এপ্রিলের পর থেকে লকডাউনে কিছুটা ছাড় দেওয়া হবে। তবে সাধারণ মানুষকে সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং অর্থাৎ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যে স্থান থেকে নিয়ম ভাঙার খবর আসবে, সেই এলাকার ক্ষেত্রে ছাড় তুলে নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ ভারতের পাঁচ রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক এবং কেরলের ১০টি হটস্পট এলাকাতেই করোনা আক্রান্তের হার ৩৪ শতাংশ। এর মধ্যে সবথেকে বড় হটস্পট হচ্ছে তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদ। সেখানে এ পর্যন্ত ২১৩ জন আক্রান্তের খবর এসেছে। হায়দরাবাদে এক পরিবারের ১৭ জন পজিটিভ রয়েছেন এই পাঁচটি রাজ্য মিলিয়ে প্রায় তিন হাজারের মতো আক্রান্তের সংখ্যা পাওয়া গেছে। তবে কেরল ও কর্নাটকে পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হচ্ছে। কেরলে এ পর্যন্ত ৫৫ শতাংশ আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন।