Barak UpdatesBreaking News
অভিমান সরিয়ে আগ্রহ বাড়ছে মোদি-দর্শনে
৪ জানুয়ারিঃ সময় যত এগিয়ে আসছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় যাওয়ার আগ্রহ বাড়ছে শিলচরবাসীর। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিজেপির উপস্থিতির আহ্বানসূচক প্রচারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছিল নানা ধরনের অভিযোগ। মহাসড়ক হয়নি, কাগজ কল খোলেনি, নাগরিকত্বের ধোঁয়াশা কাটছে না, এনআরসি নিয়ে যন্ত্রণা, চাকরি নেই ইত্যাদি নানা ক্ষোভের কথা। সঙ্গে জুড়ে যায় অসম সরকারের নানা ব্যর্থতার কাহিনিও। এমনকী বাদ যায়নি স্থানীয় বিজেপি নেতাদের খেয়োখেয়ির গালগল্পও। কিন্তু রাত পোহাতেই সব অভিযোগ অভিমানে রূপান্তরিত হয়। সকাল থেকে যে পথে যাওয়া যায়, এক প্রশ্ন, মোদীর সভায় যাবেন না। হাটে-বাজারেও ওই এক জিজ্ঞাসা। সকালের দিকে অভিমান ভরে অনেককেই বলতে শোনা গিয়েছে, আমাদের ওইসবে লাভ নেই। তাতে কিছু হবে সাধারণ মানুষের? কিন্তু বেলা যত বাড়ছে অভিমান কাটছে। গলির মুখের দোকানে কি রিকশাচালকদের আলোচনায় মোদির সভায় যাওয়ার তাড়া টের পাওয়া যাচ্ছে। মহিলারাও এই বাড়ি ওই বাড়ি ডেকে জানতে চাইছেন, কখন বেরোবেন। ফলে বিজেপি যে রেকর্ডভাঙা সমাবেশের দাবি করেছিল, তা সাধারণ মানুষই পূরণ দিতে পারে। দলের পক্ষ থেকে ডিমা হাসাও, উত্তর ত্রিপুরা এবং বরাকের প্রতিটি প্রান্ত থেকে মানুষ আমার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রামনগরে কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিড় বাড়তে শুরু করবে। আশেপাশে এখনই উঁকিঝুঁকি বাড়ছে। মানুষের আশা, ভোটের মুখে হলেও মোদি এই অঞ্চলের মানুষের জ্বলন্ত সমস্যাগুলি নিয়ে কথা বলবেন।
পাশাপাশি নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে গোটা তল্লাট। মঞ্চের দায়িত্বে রয়েছে এসপিজি। তাঁদের পরামর্শে মঞ্চের সামনে বিশাল জায়গা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দলীয় নেতাদেরও সেখানে ঢোকার অনুমতি নেই। মঞ্চে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের তালিকা দফায় দফায় পরীক্ষার পর চূড়ান্ত করা হয়েছে। এর বাইরে কাউকে কাছাকাছি ঘেষতে দেওয়া হবে না। রামনগর আইএসবিটি থেকে অনেকটা ভেতরে সভা বলে সাধারণ মানুষকে বেশ কিছু দূরত্ব হাঁটতে হবে। প্রধানমন্ত্রী অবশ্য হেলিপেডে নেমে গাড়ি চড়েই মঞ্চেই যাবেন। সে জন্য খেতের মধ্যে নতুন পিচ রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এর পরও আজ আর সাধারণ মানুষের সে-দিকে বাঁকা নজর নেই। বরং অনেকে নিজে থেকে মন্তব্য করছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী বলে কথা! তাঁর জন্য তো এইটুকু করতেই হবে।
English text here