Barak UpdatesHappeningsBreaking News
দারিদ্র বাড়বে লকডাউন খোলার পরে, সবাইকে পাশে থাকতে বলবেন এসপিPoverty will rise after lockdown gets over, SP urges all to stay besides the distressed
২৯ এপ্রিলঃ লকডাউনে সরকারি চাল-ডাল, বিভিন্ন সংস্থার ত্রাণে কষ্ট করে হলেও সকলের দিন চলে যাচ্ছে। কিন্তু লকডাউনের শেষে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠার আশঙ্কা করছেন কাছাড়ের পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র দেবরায়। বুধবার এবিভিপি ফেসবুক লাইভ-এ অংশ নিয়ে তিনি তাঁর আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেন। বলেন, খাওয়াপরা, শিক্ষাদীক্ষা নানা দিক থেকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অনেকে পুঁজি নষ্ট করে ফেলেছেন। অনেকে টাকার জন্য দোকান খুলতে পারবেন না। দিনমজুর সহ অনেকে কাজ খুঁজে পাবেন না।
#FacebookLiveSeriesShri Manabendra Dev Ray, APSSuperintendent of Police, Cachar, Silchar#ABVP_Cachar_DistrictABVP AssamAkhil Bharatiya Vidyarthi Parishad (ABVP)Cachar Police
Posted by ABVP Cachar District on Tuesday, April 28, 2020
সেইসঙ্গে দুস্থ পরিবারের সন্তানরা পড়াশোনায়ও পিছিয়ে যাবে। মোবাইলের অভাবে অনলাইনের কোর্স করা সম্ভব হচ্ছে না তাদের। এই ধরনের নানা সামাজিক সঙ্কট আসতে পারে বলে আগাম সতর্ক করে দেন তিনি। পুলিশ সুপার বলেন, এই সঙ্কট একমাত্র মানুষের সহযোগিতাতেই কাটিয়ে তোলা যেতে পারে। খাওয়া-পরার সমস্যা নেই যাদের, তারা যদি প্রত্যেকে একটি পরিবারের সাহায্যে এগিয়ে আসেন, তাহলেই কারও ওপর যেমন প্রচণ্ড চাপ আসবে না, তেমনি বহু পরিবার বেঁচে যাবে। শুধু আর্থিক সাহায্যই নয়, অসহায় পরিবারগুলিকে পরামর্শ দিয়ে বাঁচার উপায় দেখাতে বলেন তিনি। আহ্বান জানান, শিক্ষিত যুবারা যেন গরিব ছেলেমেয়েদের বিনা ফি-তে পড়িয়ে উপকার করেন।
মাস্ক যে শুধু লকডাউনের জন্য নয়, সে কথার উল্লেখ করে মানবেন্দ্রবাবু বলেন, লকডাউন উঠে গেলেও দীর্ঘদিন একে সঙ্গী করেই চলতে হবে। এটা নিজেদের প্রয়োজনেই জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন। পুলিশ সুপার বলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকানো ছাড়াও এর আরও উপকারী দিক রয়েছে। মাস্ক পরার দরুন অন্যান্য রোগ অনেক কমে গিয়েছে। কম ঘোরাফেরা, নিয়ম মেনে খাওয়ার জন্যও রোগযন্ত্রণা কমেছে বলে মনে করেন তিনি।
লকডাউন পর্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ছাড়াও কাছাড় পুলিশ অন্যান্য উপায়েও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। মানবেন্দ্রবাবু দুয়েকটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, গোলাঘাটের বাসিন্দা ৩৮ বছরের এক ব্যক্তির আইজলে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হয়। কাছাড়ের পুলিশ মৃতদেহ গ্রহণ করে গোলাঘাটে পৌঁছে দেয়। পুলিশের তরফে বহু মানুষের ঘরে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শিলচর থেকে ওষুধ সংগ্রহ করে মাইবাঙে দিয়ে আসার দৃষ্টান্তও রয়েছে। এক বৃদ্ধের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াও করেছেন কাছাড়ের পুলিশকর্মীরা।
তিনি কাছাড়়ের মানুষেরও প্রশংসা করেন। বলেন, নিয়ম মেনেই এখানে লকডাউন পালিত হয়েছে। তা অব্যাহত রাখার আর্জি জানান পুলিশ সুপার৷