Barak UpdatesHappeningsBreaking News
সোনিয়া-রাহুল নন, রাজীব গান্ধীর মূর্তির উন্মোচন করলেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান
ওয়েটুবরাক, ২৫ নভেম্বর : সন্তোষমোহন দেব চেয়েছিলেন, ইন্দিরা ভবনের সামনে ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তি বসাবেন, রাজীব ভবনের রাজীব গান্ধীর মূর্তি৷ পূর্ণাবয়ব দুই মূর্তির আবরণ উন্মোচন করবেন সোনিয়া গান্ধী৷ ২০১১ সালে কলকাতা থেকে মূর্তি এলো বটে, কিন্তু গুঞ্জন ওঠে, কারও চেহারা হয়নি৷ পলিথিনে ঢাকা পড়ে দুই মূর্তি৷ পিতার মৃত্যুর পর সুস্মিতা দেব মূর্তি বদলের সিদ্ধান্ত নেন৷ স্থির করেন, উন্মোচক হবেন রাহুল গান্ধী৷ কিন্তু ২০১৬ সালের মার্চে রাহুলের হাতে তাঁর ঠাকুরমার আবক্ষ মূর্তির উন্মোচন হলেও রাজীব গান্ধীর মূর্তির কাজ শেষ হয়নি৷ এ বার মূর্তি আসতেই সোসিও-কালচারাল, এডুকেশন অ্যান্ড স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট সুস্মিতা দেবকেই উন্মোচক হিসাবে বেছে নেয়৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে ট্রাস্টের সদস্যরা জানতে পারেন, তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা শিলচরে আসতে পারছেন না৷ তাঁকে এ দিনই দলীয় নির্দেশে কলকাতা থেকে দিল্লি যেতে হয়েছে৷ শেষে রাজীব গান্ধীর মূর্তির আবরণ উন্মোচন করলেন ট্রাস্টেরই চেয়ারম্যান অমলকান্তি (বাদল) দে৷
অতি সংক্ষিপ্ত উন্মোচনী অনুষ্ঠানে রাজীব গান্ধীর চেয়ে অবশ্য সন্তোষমোহন চর্চাই বেশি হয়৷ অমলকান্তি ওরফে বাদলবাবু বলেন, রাজীব ভবন সন্তোষমোহনের অক্ষয় কীর্তি৷ ১১৬০ আসনের প্রেক্ষাগৃহ উত্তর-পূর্বে আর নেই৷ বিধায়ক মিসবাহুল ইসলাম লস্করও উল্লেখ করেন, সন্তোষমোহনের প্রচেষ্টাতেই রাজীব ভবন হয়েছে৷ বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কাছাড় জেলা সভাপতি তথা সাময়িক প্রসঙ্গের কর্ণধার তৈমুর রাজা চৌধুরীর কথায়, এই অঞ্চলে প্রেক্ষাগৃহের বড় অভাব ছিল৷ সন্তোষমোহন তা পূরণ করেছিলেন৷ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি তথা জেলা কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ বাবুল হোড় বাবার সঙ্গে মেয়ে সুস্মিতা দেবের অবদানও উল্লেখ করেন৷ বলেন, এই তৃণমূল সাংসদই রাজীব গান্ধীর আবক্ষ মূর্তি বসানোর যাবতীয় ব্যবস্থা করেন৷
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী দীপক দেব, সঞ্জীব রায়, রাজেশ দেব, সুজন দত্ত, শৈবাল দত্ত প্রমুখ৷ সঞ্চালনায় ছিলেন পার্থরঞ্জন চক্রবর্তী৷ কিন্তু দর্শকদের অনেকের প্রশ্ন, দ্বিতীয়বারেও কি রাজীব গান্ধীর চেহারা হয়েছে ?