Barak UpdatesBreaking NewsFeature Story
Little boy donate entire piggy bank savings for fight against coronavirusকরোনাঃ খেলনা-ব্যাঙ্ক ভেঙে চার বছরের সঞ্চয় দান চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের
৯ এপ্রিলঃ চার বছর ধরে জমানো অর্থ করোনা মোকাবিলার জন্য সাংসদের হাতে তুলে দিল শিলচরের নয় বছরের শিশু শুভং গুপ্ত।
বাবা বাজার সেরে এলে সব ধাতব মুদ্রার মালিক সে-ই। দৌড়ে নিয়ে ফেলে খেলনা-ব্যাঙ্কে। এ নিয়ে মা-ছেলেতে কাড়াকাড়ি কম হয় না। দিদা, মামারাও প্রায়ই দেন দশ-বিশ টাকা। সবই জমা হয় এক জায়গায়। এ বার ছেলে চতুর্থ শ্রেণিতে উঠলে বাবার জোরালো দাবি, ‘ব্যাঙ্কটা ভাঙতে হবে। ওই টাকায় রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবো।’ আগেও এমন কথা বেশ কয়েকবার হয়েছে। ছেলের সে কী কান্নাকাটি! কিছুতেই ব্যাঙ্ক ভাঙা চলবে না। পুরো ভর্তি হয়ে গেলে ওই টাকায় একটা ভাল কাজ করবে সে। কিন্তু ভাল কাজটা কী, নিজেও ভেবে দেখেনি নয় বছরের শুভং ওরফে তান।
দুদিন আগে নিজেই বাবাকে ব্যাঙ্ক ভাঙার প্রস্তাব দেয়। কী ব্যাপার! তখনও বাবা কম্প্যুটারে টুইটার খুলে স্বাস্থ্য-শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বার্তা পড়ছিলেন। রাধামাধব কলেজের ইতিহাসের শিক্ষক সুদর্শন গুপ্ত লকডাউনের পর ঘনঘন হিমন্ত বিশ্বর টুইটার হ্যান্ডেলে চোখ রাখেন। একে তো বিভাগীয় মন্ত্রী, এর ওপর তিনিই যে করোনার সব তথ্য টুইট করেন। তানের অতশত বোঝার ক্ষমতা নেই। কিন্তু ঘরের আলোচনায় করোনার ভয়াবহতাটা টের পায়। দুস্থদের সহায়তায় অনেকে মন্ত্রীর হাতে টাকা দিচ্ছেন, টুইটারে ছবি দেখে বুঝতে পারে।
নিজেই বাবাকে বলে, ‘আমার ব্যাঙ্কের টাকাটা হিমন্ত আঙ্কলকে দেব।’ মা মৌমিতা গুপ্তও ছেলের প্রস্তাবে খুশি। কিন্তু এই সময়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সাক্ষাৎ পাওয়া কি সম্ভব! বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাঙ্ক ভেঙে মা-বাবাকে নিয়ে তান যায় শিলচরের সাংসদ ডা. রাজদীপ রায়ের বিলপারের বাড়িতে। তাঁর হাতেই তুলে দেয় ২ হাজার ২২০ টাকা। সঙ্গে হিমন্ত আঙ্কলের উদ্দেশে লেখা চিঠি, ‘রাজ্যের মানুষের সাহায্যের জন্য ব্যাঙ্ক ভেঙে এই টাকা দিলাম। তোমাকে বড় ভালবাসি, খুব সম্মান করি।’
Piggy banks are being unloaded ! Amazed to find the concern level and participation of the future of our country in the midst of this #COVID-19 crisis. Our Country should be in safe hands! @himantabiswa @sarbanandsonwal @narendramodi pic.twitter.com/oAs3W98jYy
— Dr Rajdeep Roy (@drrajdeeproy) April 9, 2020
হলিক্রশ স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের টাকা-চিঠি গ্রহণ করে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি হাড়গোড় অপারেশনের বিশেষজ্ঞ রাজদীপ রায়। সঙ্গে সঙ্গে তা টুইট করেন। জানান স্বাস্থ্য-শিক্ষা মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।