NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsAnalyticsBreaking News
অসমিয়া শিখতে না চাইলে বরাক পৃথক হয়ে যাক, বললেন হায়ার সেকেন্ডারি কাউন্সিল চেয়ারম্যানLet Barak become separate, if they don’t want to learn Assamese, says Chairman of AHSEC
Bengalis of Barak can go & join Bengal if they want to study Bengali: Dr.Dayananda Borgohain
ওয়েটুবরাক, ১৯ এপ্রিলঃ আসামে থাকতে হলে অসমিয়া ভাষা শিখতেই হবে, এমন কথাই শোনালেন আসাম হায়ার সেকেন্ডারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান দয়ানন্দ বরগোঁহাই। এক অসমিয়া নিউজ চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাতকারে তিনি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, অসমিয়া শিখতে না চাইলে আসাম ছেড় চলে যাওয়াই উচিত তাদের। তিনি শিলচর সহ বরাক উপত্যকা বনধের উল্লেখ করে বলেন, ”অসমিয়ার বদলে বাংলাভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলে তারা আসাম থেকে আলাদা হয়ে যাক। নইলে পশ্চিমবঙ্গে চলে যেতে পারে।” বরগোঁহাইর বক্তব্য, ”বরাক উপত্যকা ব্রহ্মপুত্রের সাহায্যেই চলে। তাদের তেমন রাজস্ব নেই।”
তাঁর কথায়, আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে অসমিয়া পড়তেই হবে। অলটারনেটিভ ইংলিশ এমআইএল হিসেবে পড়া চলবে না। মোট বারোটি ভাষা নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তাদেরই একটি নিতে হবে। এর মধ্যে বাংলা রয়েছে কিনা, এর অবশ্য উল্লেখ করেননি তিনি।
Video Credit: Asom Live 24
সেবা সাম্প্রতিক অসমিয়া ভাষা শেখার জন্য সপ্তম পত্রের অবতারণা করে তা আবার স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন বরগোঁহাই। তিনি সেবা-র চেয়ারম্যানকে একহাত নিয়ে বলেন তিনি কতটা অসমিয়া, নাকি শুধুই জৈন, এর প্রমাণ দিতে হবে। তাঁর কথায়, এই স্থগিতাদেশ সেবার আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। আইনে কোনও প্রতিবন্ধকতা থাকলে সিদ্ধান্ত নয়, আইন সংশোধন করা প্রয়োজন।
তিনি অসমিয়া ভাষায় সাইনবোর্ড বাধ্যতামূলক হয়নি অসম সাহিত্য সভার সমালোচনায় মুখর হন। বলেন, ”তাঁদের সভায় গিয়ে তাঁদের ব্যর্থতার কথা বলে এসেছি। জানতে চেয়েছি, গত একশো বছরে কী করতে পেরেছেন তাঁরা।”
তিনি কেন এমনভাবে অসমিয়ার জন্য বলছেন, এরও কারণ ব্যাখ্যা করেন। বলেন, তিনি রাজার বংশের মানুষ। তাঁর পূর্বপুরুষরা যখন এই অঞ্চল দখল করেন, তখন নিজের মাতৃভাষা সকলের ওপর চাপিয়ে দিলে আজ গোটা রাজ্যের মানুষ ‘তাই ভাষা’য় কথা বলতেন। কিন্তু তাঁদের উদারমনা প্রকৃতির জন্য এখন ‘তাই ভাষা’ পুরো হারিয়ে গিয়েছে। এর দরুন প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে তাঁরা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারেন না। এর পর আসে অসমিয়া ভাষা। তাও রাজ্যের পঞ্চাশ শতাংশ এই ভাষায় কথা বলেন না।