Barak UpdatesHappeningsBreaking News
‘অর্ডার নয়, পাখি মণ্ডপ থেকে সরাতে বলেছিলাম’, অবস্থান বদলালেন জেলাশাসক‘It’s not an order, we just asked them to remove birds from pandal’, DC Cachar changes stand
৫ অক্টোবর : অবস্থানে অনঢ় থাকতে পারলেন না জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরি। একদিনের মধ্যেই তাঁর সুর অনেকটা নিচে নেমে এল। উধারবন্দ কালীবাড়ি রোডের পুজোমণ্ডপে পাখি রেখে সাজসজ্জা করায় একাধিক পরিবেশপ্রেমীর দাবির প্রেক্ষিতে শুক্রবার জেলাশাসক জোরগলায় বলেছিলেন, পাখিগুলো এভাবে থাকতে পারে না। এগুলোকে শীঘ্রই মণ্ডপ থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। তাছাড়া তিনি যখন মণ্ডপ উদ্বোধনে গিয়েছেন, তখন তাঁকে পাখিগুলো দেখানো হয়নি। কিন্তু এর একদিন পর শনিবার পাখিগুলো মণ্ডপ থেকে সরাতে তাঁর সেই কড়া মনোভাব আর নেই।
এ দিন জেলাশাসক বলেছেন, ‘পুজো কমিটির কাগজপত্র ঠিকঠাক আছে। আমি এগুলো খতিয়ে দেখেছি। কাগজপত্র ঠিক থাকা সত্ত্বেও পাখিগুলো যাতে সুস্থ থাকে, সেই মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে পাখিগুলোকে সরিয়ে নিতে বলেছিলাম। মূলত গতকাল আমি কোনও অর্ডার বা নির্দেশ দিইনি, আমি শুধু তাদের পাখি সরাতে বলেছিলাম।’ জেলাশাসকের এই কথার অর্থ এমন দাঁড়ায় যে, তিনি পুজো কমিটিকে মণ্ডপ থেকে পাখি সরাতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু আগের দিন জেলাশাসক এভাবে কড়া মনোভাব দেখিয়ে পরদিন নিজের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ানো সাধারণ মানুষের কাছে বেশ রহস্যজনক মনে হচ্ছে। তবে পরিবেশপ্রেমীরা অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শুক্রবারের মতো শনিবারও সরব রয়েছেন। তাঁরা দাবি জানাচ্ছেন এই অসহনীয় পরিবেশ থেকে পাখিগুলোকে মুক্তি দেওয়া হোক। আরও বলেন, এই মণ্ডপে পাখি রাখার অনুমতি রয়েছে কি না, তা তদন্ত সাপেক্ষ, তবে পাখিগুলো যে অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে, তা স্পষ্ট।
অন্যদিকে উধারবন্দ কালীবাড়ি রোড পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা শঙ্কর রায় বলেন, ‘মণ্ডপে পাখি রাখার প্রয়োজনীয় নথিপত্র আমাদের কাছে রায়েছে। তা দেখিয়ে প্রমাণ করেছি, আমরা অবৈধভাবে পাখিগুলোকে এখানে আনিনি। আসলে মণ্ডপে পাখি রেখে আমরা সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার বার্তাই দিতে চেয়েছি। এরপরও জেলা প্রশাসন যদি লিখিত কিছু দেয়, তাহলে পাখিগুলোকে সরানো যায় কি না আমরা ভেবে দেখব।’
তবে শুক্রবার জেলাশাসক সংবাদ মাধ্যমে দফায় দফায় ‘অর্ডার’ শব্দটি উল্লেখ করলেও পাখিগুলোকে মণ্ডপ থেকে সরাতে কোনও লিখিত নির্দেশ দেননি। তাছাড়া রাজ্যের বন ও পরিবেশ মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের জেলা সদরে এভাবে বন্যপ্রাণীর করুণ অবস্থা মোটেই কাম্য নয়, এমন মন্তব্যও সচেতন মহলে ঘোরপাক খাচ্ছে।