Barak UpdatesHappeningsBreaking News

সিভিলের কোভিড ওয়ার্ডে বসেও লিখছেন তিলক

১৭ জুলাইঃ খবরটা তাঁকে জানানো হয়েছিল সকাল এগারোটায়।  জিনিসপত্র গোছানো তখনই শুরু।  বিছানার চাদর, টুথপেস্ট-ব্রাশের সঙ্গে চায়ের ইলেকট্রিক কেটলিটাও। বেলা ২টায়  সরকারি অ্যাম্বুলেন্স যায় দাস কলোনির মজুমদার লেনে।  তাঁকে নিয়ে প্রথমে রওয়ানা হয়েছিল শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।  সুস্থ হয়ে ওঠার আগে রুম থেকে বেরনোর সুযোগ নেই জেনেও আব্দার করলেন, “শহরে রাখা যায় না আমাকে!” কোভিড যোদ্ধা বলে কথা!  প্রশাসনের পক্ষ থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালককে এসএম দেব সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Rananuj

তিলক জানালেন, ওষুধপত্রের প্যাকেট তৈরি করেই রাখা ছিল। ওয়ার্ডে ঢোকার আগে সেগুলি তাঁর হাতে দেওয়া হয়।  ডাক্তাররা পরে ফোনে  কথা বলেন, প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। প্রথম দিনের অভিজ্ঞতায় তিলকবাবু জানালেন, ভালই ব্যবস্থা। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন।  রাতে মাছ-ভাত খেতে দিল। রান্না ভালই।

তিলকবাবু অবশ্য ওইসব ব্যাপারে মোটেও নাকউঁচু নন।  তাঁর প্রাথমিক বিচার্য ছিল, লেখার পরিবেশ আছে কিনা। তা পেয়ে গিয়েছেন বলে বাকি সব গৌণ।  কোভিড ওয়ার্ড থেকেই টেলিফোনে খবর সংগ্রহ করছেন। সে সব কখনও জানান ‘বরাক বুলেটিন’কে। কখনও   লিখতে শুরু করেন ‘প্রান্তজ্যোতি প্রতিবেদন’।   বললেন, ”এটাই আমার দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার বড় উপকরণ। লিখতে না পারলে অসুস্থতা কতটা বেড়ে যেত জানি না, অসুস্থতাবোধটা নিশ্চিতই বেড়ে যেত।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker