Barak UpdatesIndia & World UpdatesBreaking News
চোখের দিকে তাকিয়েই মনের কথা বুঝে যান মোদিজি, লিখেছেন ডা. রাজদীপ রায়Looking at the eyes Modiji can know what’s going on in the mind, writes Dr. Rajdeep Roy
।।ডা. রাজদীপ রায়।।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আগেও আবার বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। কিন্তু সেভাবে কথা বলার সুযোগ ছিল না। মূলত নির্বাচনী প্রচারের সময়েই তাঁর কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ মিলত। সে লোকসভা নির্বাচন হোক, বা বিধানসভার নির্বাচন। তখন তাঁর ব্যস্ততা থাকে অকল্পনীয়। ফলে কাছে গেলেও দেখারই সুযোগ মিলেছে কেবল। এ বার সাংসদ হওয়ায় কথা বলারও সুযোগ হল। তাও এই দুইমাসে বেশ কয়েকবার।
কখনও তিনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাংসদদের পৃথকভাবে ডেকেছেন, কখনও আমি অসমের প্রতিনিধিদলে শরিক হয়ে তাঁর দরবারে গিয়েছি। এমন ব্যস্ত মানুষটি এতটা ধীরস্থির! না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। মনে হয়, তাঁর মুখের দিকে তাকিয়ে থাকি। কী আশ্চর্য, সকলের চোখের দিকে তাঁদের মনের কথা বলে দিচ্ছেন! কেউ হয়তো কোনও প্রসঙ্গ তুলতে গিয়ে ইতস্তত করছেন। মোদিজি তাঁর দিকে তাকিয়ে ঠিক ওই প্রসঙ্গেই জানতে চান।
সারাক্ষণ কত কী যে ভাবতে থাকেন! পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভায় সব সাংসদদের বললেন, বুথে বুথে ৫টি করে গাছ লাগান। গ্রামে গ্রামে পঞ্চবটি হবে। রামরাজ্য মানে রাম এসে রাজ্য চালাবেন না। এ কথার অর্থ হচ্ছে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলুন, মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করুন। গান্ধীজির দেড়শো-তম জন্মজয়ন্তীতে সবাইকে গ্রামে গ্রামে হাঁটতে বললেন। এর পরই অত্যন্ত মূল্যবান এক কথা শোনালেন। বললেন, পরের বার জিততে হবে কাজের নিরিখে। আমি এমন কাজ করুন, যাতে আমি না গেলেও জিততে পারেন।
আর শুধু যে বলেন, তা নয়। অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে সকলের কথা শোনেন। যে কোনও প্রস্তাব দিলে, এ নিয়ে চর্চা করেন। কেতাবী জ্ঞানই যে সব নয়, মোদিজিকে যত দেখছি, ততই তা আমার কাছে পরিষ্কার হচ্ছে। অভিজ্ঞতায় একেবারে ঠাসা। তাঁকেই বলে ভিশনারি। বহু ত্যাগস্বীকারের মধ্য দিয়ে নেতৃত্বের এই জায়গায় পৌঁছেছেন।
একটা ঘটনা বলি। এটা মনে হলেই নিজের বেশ গর্ববোধ হয়। অসমের সাংসদদের সঙ্গে যে দিন পৃথকভাবে কথা বললেন, নতুনদের ২ মিনিটের মধ্যে নিজের সম্পর্কে বলতে বললেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের কথা উল্লেখ করে, শেষে বলি আমিও একজন অর্থো-সার্জনও। এ কথা শুনেই চোখ বড় করে তাকালেন আমার দিকে। ভালো করে দেখে নিলেন। পরে একই ধরনের আরেক সভায় তিনি আমাকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরলেন। বললেন, আমাদের মধ্যে বিভিন্ন মর্যাদাসম্পন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন। আছেন সার্জনও। যতই পরিণত হই না কেন, মোদিজির মুখে এমন কথা শুনলে কার গর্ব হবে না !
(আগামী পর্বে—- বাবা তো নেই, প্রথম ভাষণের পরই ফোন করি কবীন্দ্র জেঠু, নিত্য কাকুকে)
।।অনুলিখন।।
BHPBJP Zindabad