Barak UpdatesBreaking News
এনআরসি নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে পারলেন না হরিশ রাওয়াতHarish Rawat failed to clear his position on NRC
Visual Credit: Jatayu
সোমবার নাগরিক সভায় শহরের বিশিষ্টজনেরা বারবার এনআরসি ইস্যুতে হরিশ রাওয়াত সহ এআইসিসি-র দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুণ বরা-কে পাশে বসিয়েই তাঁরা বলেন, এ নিয়ে অসমের দলীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিভাজন রয়েছে। প্রদেশ নেতৃত্ব বরাকের বাঙালিদের আবেগ বা সমস্যাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। সে সব তখন রাওয়াত কিছু বলেননি। সবাই আশা করেছিলেন, মঙ্গলবারের কর্মীসভায় তাঁর বক্তব্যে এই বিষয়ই বিশেষ গুরুত্ব পাবে। কিন্তু হতাশ করলেন কর্মীকুলকে। অমিত শাহের উইপোকা-মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েই দায় সারেন তিনি।
Visual Credit: Jatayu
তবে আগামী বছর কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরছে বলে দৃঢ় প্রত্যঙ্গের সঙ্গে কর্মীদের শুনিয়ে যান তিনি। বলেন, তখন এই অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা হবে। মাথা তুলে দাঁড়াবে ট্রেডিং হাব। তিনি বিস্মিত, এই সবের বদলে এমন জায়গায় পেপার মিল বন্ধ করে দিয়েছে বিজেপি। চা বাগানের মহিলা শ্রমিকদের উন্নতির কথাও দল ভেবে চলেছে, শোনান সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা। তাঁদের আমলে যে অর্থনৈতিক সংস্কার, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছিল, তা তিনি জোরের সঙ্গে উল্লেখ করেন।
Visual Credit: Jatayu
মোদিকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে হরিশ রাওয়াত বলেন, প্রতিদিন মানুষের সঙ্গে এপ্রিলফুল খেলছেন তিনি। বিমুদ্রাকরণের নামে সাধারণ জনতাকে চরম ভুগিয়েছেন। বছরে কোটি চাকরি দেওয়ার কথা বলে গত ৫ বছরে বহু চাকরি কেড়ে নিয়েছেন। তাঁর আচ্ছে দিন এখন অনুবীক্ষণেও ধরা পড়ে না। তাঁর শ্লেষমাখা মন্তব্য, আচ্ছে দিন হলে চিন বা জাপানে হয়েছে। মেক ইন ইন্ডিয়ার বদলে ভারতবর্ষ চিনা সামগ্রীতে ভরে গিয়েছে। ২০১৯-র ভোটে ওইসবের জবাব দিতে তিনি সকলের উদ্দেশে আহ্বান জানান।
হরিশ রাওয়াত লোকসভা ভোটে তাঁর বক্তব্য সীমিত রাখলেও শিলচরের কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব পঞ্চায়েত নির্বাচনেই বিশেষ গুরুত্ব দেন। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে অসমে পঞ্চায়েত ভোট করতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে। সেই কথা খেয়াল রেখে তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনই কংগ্রেসের টার্নিং পয়েন্ট। একে কাজে লাগাতে হবে। এতদিন ধরে যারা দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছেন, তাঁদের এই নির্বাচনে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে আশ্বশ্ত করেন। তাঁর বিশ্বাস, সাড়ে ৪ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকেও যেভাবে কর্মীরা দলকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন, এর ফল মিলবেই। প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দেক আহমদ এআইইউডিএফ নেতা বদরুদ্দিন আজমলের বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হন। তিনি বলেন, আজমল মূলত হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মুখপাত্র হয়ে উঠেছেন।
Visual Credit: Jatayu