Barak UpdatesBreaking News
জেলাশাসকের কাছে বড়খলাবাসীকে অশিক্ষিত বলে বিপাকে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারBank Manager in false position after he terms the public of Borkhola as ‘illiterate’ in front of DC Cachar
৪৮ ঘণ্টায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে, ক্ষোভ জনতার
২৪ এপ্রিল : জেলাশাসকের কাছে গ্রাহকদের কথা জানাতে গিয়ে বড়খলাবাসীকে অশিক্ষিত বলে নতুন বিতর্ক খাড়া করলেন সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। খুব স্বাভাবিকভাবেই ম্যানেজারের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে স্থানীয় জনগণ জানিয়ে দিয়েছেন, এমন মন্তব্যের জন্য তাঁকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। এজন্য ম্যানেজারকে ৪৮ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দিয়েছেন বড়খলার মানুষ। কড়া ভাষায় বলেছেন, ম্যানেজার ক্ষমা না চাইলে ২৬ এপ্রিল সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের বড়খলা শাখার সামনে ধর্না কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা।
গত কিছুদিন থেকেই সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের এই শাখার কাজকর্ম নিয়ে জনগণের অভিযোগ রয়েছে। গ্রাহকরা দিনের পর দিন ব্যাঙ্কে এসেও পরিষেবা পাচ্ছেন না। কর্মীরা প্রায় সময়ই লিংক না থাকার অজুহাত দেন বলে অভিযোগ। এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে খালি হাতেই ফিরে যেতে হচ্ছে গ্রাহকদের। ব্যাঙ্ককর্মীদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বললেও ভাল ব্যবহার পান না তাঁরা। এমনকি সিনিয়র সিটিজেনদেরও অবস্থা সাধারণ গ্রাহকদের মতো। বুধবারও এ নিয়ে জনৈক ব্যক্তির সঙ্গে বচসা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ দিকে, বুধবারই বড়খলা ব্লক পরিদর্শনে আসেন জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরী। তাঁকে সামনে পেয়ে ব্যাঙ্কের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় জনগণ। এরপরই তিনি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বিকাশ টুকুকে সেখানে ডেকে পাঠান। জেলাশাসক ম্যানেজারের কাছেও ব্যাঙ্কের পরিষেবা সম্পর্কে জানতে চান। আর তখনই বিবরণ দিতে গিয়ে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বড়খলাবাসীকে ‘অশিক্ষিত’ বলে উল্লেখ করেন। এতেই ক্ষেপে যান এলাকার বাসিন্দারা। তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এর প্রতিবাদ জানান।
তাঁরা এ দিন ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, জেলাশাসকের কাছে পুরো বড়খলার মানুষ সম্পর্কে এমন মন্তব্য করা ম্যানেজারের মোটেই ঠিক হয়নি। এর জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে বড়সড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। অন্যদিকে, জেলাশাসক জনগণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দ্রুত উন্নত পরিষেবার ব্যবস্থা করতে ম্যানেজারকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এজন্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে এক সপ্তাহ সময় দিয়ে বলেছেন, এর মধ্যে পরিষেবা ঠিকঠাক না হলে তিনি বিভাগীয় স্তরে ব্যবস্থা নেবেন। ম্যানেজার খুব দ্রুত পরিষেবা উন্নত করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসককে।
এ দিকে, ব্লকের কাজকর্ম দেখেও জেলাশাসক অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি ঠিকঠাক কাজ করতে কড়া সুরে ব্লক অফিসের কর্মীদের নির্দেশ দেন। গ্রামোন্নয়ন প্রকল্প সঞ্চালক রসরাজ দাস তাঁর সঙ্গেই ছিলেন। জেলাশাসক মাদ্দুরি তাঁকে এ সব ব্যাপারে উপযুক্ত তদারকি করতে বলেন। মাদ্দুরির কথায়, সাধারণ মানুষের সরকারি প্রকল্পের সুবিধে পেতে গিয়ে অহেতুক হয়রানির শিকার হতে না হয়।