NE UpdatesHappeningsBreaking News
কাছাড়েও হবে ডিএনএলএ-র ডেজিগনেটেড ক্যাম্প !
ওয়েটুবরাক, ২৩ ডিসেম্বরঃ কাছাড়েও ডিমাসা ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (ডিএনএলএ)-এর ডেজিগনেটেড ক্যাম্প হবে। কার্বি আংলঙের ধনসিরিপারে আয়োজিত আত্মসমপর্ণ অনুষ্ঠানে এই কথা জানিয়েছেন জঙ্গি সংগঠনটির স্বঘোষিত মুখ্য সেনাধ্যক্ষ মুসরাং ডিমাসা। এর আগে গত ১৩ নভেম্বর একই ধরনের অনুষ্ঠান হয়েছিল ডিমা হাসাও জেলায়। সে দিন আত্মসমর্পণ করেন ৪৭জন ক্যাডার। আজ বৃহস্পতিবার অস্ত্র তুলে দিল ৬৭জন। মুসরাং জানিয়েছেন, তৃতীয় তথা শেষ পর্বের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানটি হবে কাছাড়ে। সমতল জেলাতেও তাদের ৪০ থেকে ৫০জন ক্যাডার রয়েছে। কাছাড়ে অস্ত্র সমর্পণের পর তাদের নিজের জেলাতেই ডেজিগনেটেড ক্যাম্প করে রাখা হবে। তাঁরা এলাকার ডিমাসাদের সুরক্ষা দেবেন বলে মুসরাং মন্তব্য করেন।
আজ তাদের ৬৭ক্যাডার মিলে ২টি একে ৪৭, ৯টি এসএবিএল গান, ৯টি পিস্তল এবং ৩০০ রাউন্ড কার্তুজ আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিপি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) হীরেন নাথের হাতে তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন কার্বি আংলং জেলা স্বশাসিত পার্বত্য পরিষদের মুখ্য কার্যবাহী সদস্য তুলিরাম রংহাং, জেলাশাসক দিবাকর নাথ, পুলিশ সুপার পুষ্পরাজ সিংহ। ছিলেন ডিএনএলএ-র স্বঘোষিত চেয়ারম্যান ইথিকা ডিফুসা এবং মুসরাং ডিমাসাও।
মুসরাং সে অনুষ্ঠানে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পৃথক রাজ্য হিড়িম্বা-র দাবিতে তাঁরা হাতে বন্দুক নিয়েছিলেন। এখন তারা মূল দাবি ভুলে গিয়ে আলোচনায় বসতে নারাজ। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের দাবি আদায়ে সচেষ্ট হবেন। এ দিনের সভায় অত্যন্ত তাতপর্যপূর্ণ এক তথ্য জানান মুসরাং। তিনি বলেন, ২৬ আগস্ট পাঁচ লরিতে আগুন দেওয়া এবং পাঁচ চালককে হত্যার ঘটনায় ডিএনএলএ জড়িত নয়। তিনি এই ঘটনায় খুঁজে বার করতে পুলিশকে অনুরোধ জানান। প্রশ্ন হলো, পাহাড়ে কি তবে ডিএনএলএ ছাড়াও বন্দুক নিয়ে অন্য কোনও জঙ্গিদল ঘুরে বেড়ায়। তবে কি ডিএনএলএ-র আত্মসমর্পণের পরও এই অঞ্চলে জঙ্গিদল থেকেই যাচ্ছে।