India & World UpdatesHappeningsBreaking News

মায়ানমারে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ, উদ্বেগ

১৭ ফেব্রুয়ারি: মায়ানমারে অভ্যুত্থানের পর সোমবার থেকে দেশজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে সামরিক সরকার। তাতে আশঙ্কা করা হচ্ছে, লক্ষ লক্ষ গণতন্ত্রপন্থী বার্মিজ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ তাঁদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক মিডিয়া পর্যবেক্ষক ‘প্রেস এম্বলেম ক্যাম্পেইন (পিইসি)’ এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

স্থানীয় সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে, অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় সারা দেশে সশস্ত্র কর্মী মোতায়েন করেছে জেনারেলরা। নোবেল বিজয়ী গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আন সাং সুচি সহ  শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করার পর সর্বশেষ পদক্ষেপ হিসেবে দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে সামরিক কর্তৃপক্ষ।

পিইসি-র সাধারণ সম্পাদক ব্লেইজ লেম্পেন বলেন, ‘সামরিক শাসনের অধীনে, মায়ানমার ভিত্তিক সাংবাদিকরা নতুন সীমাবদ্ধতায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, সামরিক জেনারেলরা তাদের নিজের লোকদের বিরুদ্ধেই একটি অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই ঘটনা বহুদলীয় গণতন্ত্রিক শক্তি হিসেবে উদীয়মান মায়ানমারের সম্ভাবনাই নষ্ট করবে।’

সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বে মায়ানমারের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে টেলিফোন লাইন, মোবাইল পরিষেবা ও ইন্টারনেট সংযোগ সীমাবদ্ধ করে দিয়েছিল সামরিক কর্তৃপক্ষ, এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে এটি পুনরায় স্থাপন করা হয়েছে। দেশের বর্তমান রাজধানী নেপিডো, প্রাক্তন রাজধানী ইয়াঙ্গুন, প্রাচীন রাজধানী মান্ডালেসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অস্ত্রসজ্জিত যানবাহনগুলো দেখা গেছে। পাশাপাশি, প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে সামরিক প্রবেশাধিকার সম্পর্কে রিপোর্টগুলোও প্রকাশিত হচ্ছে।

মায়ানমারের দায়িত্বরত পিইসি-র ভারতীয় প্রতিনিধি নব ঠাকুরীয়া বলেন, ‘সম্প্রতি, শীর্ষ জেনারেল হ্লাইং প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, এক বছরের জরুরি অবস্থা শেষ হওয়ার পর, তিনি অবাধ ও নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। তবে তার প্রতিশ্রুতি গ্রহণ না করে, অনেক সাংবাদিক এখন মায়ানমার ছেড়ে থাইল্যান্ড, ভারত, বাংলাদেশ ইত্যাদি প্রতিবেশী দেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।’

শুক্রবার, জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সেখানে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার এবং নির্বিচারে আটককৃত মায়ানমারের সকলকে অবিলম্বে ও নিঃশর্তে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মায়ানমার সম্পর্কে আলোচনা করেছেন, এবং একমত হয়েছেন যে সোনালী প্যাগোডার এই দেশে জরুরি ভিত্তিতে আইনের শাসন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker