HappeningsBreaking News
অসময়ে আতশবাজি, আটক আটঃ অজানা বলেই আইন লঙ্ঘন !Crackers bursted violating orders of SC, around 8 arrested on Diwali night
৮ নভেম্বর : রাস্তাঘাটে যখন-তখন তীব্র শব্দে বাজি পোড়ানোয় লাগাম টানতেই সময় বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু আদালতের নির্দেশ তোয়াক্কা না করে দীপাবলিতে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বাজি পুড়ল শিলচরে। বাদ গেল না লোক চলাচলের রাস্তাটিও। যদিও রাতে নেমে পুলিশ ৮জনকে আটক করে। এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, এই নির্দেশের ব্যাপারে জন সচেতনতার জন্য কোনও প্রচার করেনি প্রশাসন। ফলে অনেকের কাছেই তা অজানা থেকে গিয়েছে।
আসলে কোনও সামাজিক বিষয় নিয়ে নতুন কোনও নির্দেশ দেওয়া হলে তা সাধারণ মানুষের জ্ঞাতার্থে প্রচার করা একান্ত জরুরি। কারণ এর মাধ্যমেই সচেতনতা গড়ে উঠতে পারে। আর এই কাজটি করার দায়িত্ব বর্তায় জেলা প্রশাসনের ওপর। করিমগঞ্জে প্রশাসনের তরফে রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে বাজি পোড়ানোর কথা ব্যাপক প্রচার করা হলেও শিলচরে তা বলতে গেলে শোনাই যায়নি। শুধু দীপাবলির দিনই মাইকে ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। মানুষ সন্ধে হতেই বাজি পটকা পোড়ানো শুরু করেন। কয়েকদিন আগে থেকে এ নিয়ে সচেতনতার বার্তা প্রচার করা হলে তা কার্যকরী হতো বলে অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া পত্র পত্রিকায়ও এ নিয়ে কোনও বার্তা প্রচার করা হয়নি।
এ ব্যপারে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা বিষয়টা জানতামই না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও বৈঠক আহবান করা হয়নি। তাই নিষেধাজ্ঞার কথা জানা ছিল না। প্রশাসন বললে আমরাও সাধারণ মানুষের কাছে এ ব্যাপারে সচেতনতার বার্তা নিয়ে যেতাম। বেশিরভাগ মানুষ জানেন না বলেই আইন লঙ্ঘন হয়েছে।‘
সামগ্রিকভাবে এ বার অন্যবারের তুলনায় আতশবাজির দাপট কিছুটা কম থাকলেও কিছু কিছু স্থানে তা মাত্রা অতিক্রম করেছে। প্রদূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের শিলচর রিজিওনের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার জানিয়েছেন, জানিগঞ্জে শব্দদূষণের সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৮৭ ডেসিবল এবং সর্বনিম্ন ৭৮ ডেসিবল। অম্বিকাপট্টিতেও শব্দদূষণের মাত্রা ৭৫ থেকে ৮১ ডেসিবল ছিল। শিলচর অফিস পাড়ায় শব্দদূষণ রেকর্ড করা হয়েছে সর্বনম্ন ৬৪ ও সর্বোচ্চ ৭৭।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর অভিযানে নেমে রাঙ্গিরখাড়ি পুলিশ মোট ৮ জনকে আটক করে। আদালতের নির্দেশ তোয়াক্কা না করে তারা বেশি রাতে বাজি পুড়িয়েছেন বলে অভিযোগ।