Barak Updates

জরুরি অবস্থা বাতিলের দাবি জানাতেই ঠাই জেলে, আক্ষেপ লোকতন্ত্র সেনানী সংঘের

১৯ আগস্ট : ‘জরুরি অবস্থা বাতিল করুন সরকার’, ‘জয় হিন্দ’, ‘এরকম মানছি না মানব না’ এই স্লোগানই যেন সমস্যার কারণ হয়ে গেল। জরুরি অবস্থার সময় জেলে পুরার অভিযোগ ছিল এমনটাই। একটু সরকার বিরোধী আওয়াজ উঠলেই ঠাঁই ছিল জেলে। দোষের দোষ কিছুই ছিল না। তবুও গণতন্ত্রকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তৎকালীন সময়ে জরুরি অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়েছিল বহু কর্মকর্তাকে। রাখীবন্ধন উৎসবে জমায়েত হয়ে এভাবেই আক্ষেপ ছিল লোকতন্ত্র সেনানী সংঘের কেন্দ্রীয় কর্মকর্তা রবীন্দ্র রায় ভৌমিক সহ অন্যদের।

এ দিন সেনানী সংঘ কাছাড় জেলা কমিটির উদ্যোগে হয় রাখি বন্ধন। রবিবার শিলচর আশ্রম রোডের গোবিন্দ বাড়িতে ছিল অনুষ্ঠান। এতে বরাকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জরুরি অবস্থায় কারাবরণ করা সেনানীরা অংশ নেন।  মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনসুকিয়া থেকে আসা সেনানী সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক রবীন্দ্র রায় ভৌমিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংঘের অন্যতম কর্মকর্তা শিক্ষাবিদ শঙ্কর ভট্টাচার্য। তাছাড়া প্রবীণ স্বয়ংসেবক কবি যোগেন্দ্র সিংহ, বিক্রমাদিত্য দাস সহ অন্যরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন আয়োজনকে সফল করে তুলতে।

ভারত মাতার প্রতিকৃতির সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে হয় কর্মসূচির সূচনা। সঙ্গে হয় ওমকার ধ্বনি। হয় সমবেত বন্দেমাতরম সঙ্গীতও। স্বাগত ভাষণ দেন কমিটির কাছাড় জেলা সভাপতি কনক নাথ। রাখিবন্ধনের তাৎপর্য ও প্রাসঙ্গিকতা বিশদ তুলে ধরেন ড. শঙ্কর ভট্টাচার্য। বহু পৌরাণিক কাহিনি, ভারতীয় পরম্পরা ও যুক্তির মধ্য দিয়ে এই উৎসব নিয়ে আলোচনা করেন শঙ্করবাবু। বক্তব্য রাখেন যোগেন্দ্র সিনহাও। একতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের প্রসঙ্গ উঠে আসে তাঁর কথায়। পরে একে একে অনুভূতি প্রকাশ করেন। রাখি পরিয়ে দেন একে অপরকে। এ দিন লোকতন্ত্র সেনানী সংঘকে সাংগঠনিক স্তরে আরও সুদৃঢ় করার ওপরে গুরুত্ব আরোপ করেন রবীন্দ্র রায় ভৌমিক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker