Barak UpdatesBreaking News
সম্মিলিত আলোচনাঃ “উনিশ কি আজও প্রাসঙ্গিক?”A discussion: Is 19 May still relevant today?
১৬ মেঃ গত ১১মে, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চের “হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ চেতনায় উনিশ” শীর্ষক অনুষ্ঠানে উনিশের মশাল জ্বালিয়ে সূচনা হলো রোমাঞ্চকর আলোচনা সভা। হ্যাঁ রোমাঞ্চকর, কারণ এই আলোচনা সভা কোনোভাবেই আর পাঁচটা আলোচনা সভার মত ছিল না। তত্ত্বের ওপর আমসত্ত্ব ঘসা আর একনাগাড়ে ভাষনবাজি করাটাই যে আলোচনা সভা নয়, সেটা প্রমাণিত হলো সেদিন। তথাকথিত আলোচনা সভার আঙ্গিক ভেঙে দেওয়ার পর।
আলোচনার বিষয় ছিল “একবিংশ শতাব্দীর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক প্রেক্ষাপটে ৬১’র ভাষা আন্দোলনের প্রাসঙ্গিকতা”। বক্তা ছিলেন ৩ জন; অধ্যাপক ড৹ শান্তনু সরকার, লেখক তথা সমাজকর্মী অরূপ বৈশ্য এবং শিক্ষিকা ও লেখক পাপড়ি ভট্টাচার্য।
আলোচনা শুরু হলো একেবারেই প্রথাগত ভাবে। বক্তা অরূপ বৈশ্য শুরু করলেন ভাষার উৎপত্তি, ইতিহাস, প্রয়োজনীয়তা তারপর একে একে ভাষা কেন্দ্রীক সংস্কৃতি, রাজনীতি, ভাষিক আগ্রাসন এবং সেখান থেকে ৬১’র ভাষা আন্দোলনের বর্ণনা ও তার দিকনির্ণয়। তাঁর কথার রেশ ধরে পাপড়ি ভট্টাচার্য চিহ্নিত করলেন ভাষা আন্দোলনের সংকুচিতপ্রায় নিভে যাওয়া আগুন এবং বর্তমান সময়ে এনআরসি, ডি ভোটার জনিত সমস্যায় বাঙালির অস্তিত্ব সংকটমূহুর্তে উনিশের চেতনার নীরব ভূমিকা। সবশেষে অধ্যাপক শান্তনু সরকার যুক্তিসংগত ভাবে তুলে ধরলেন উনিশে মের বানিজ্যকরণ, বিকৃতকরণ, বর্তমানে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠা ধর্মীয় এবং ভাষিক জাতীয়তাবাদের সন্ত্রাস, যা বরাবরই ৬১’র আন্দোলনের মূল দর্শনকেই পালটে দিতে চাইছে। দুই দফায় এ নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন উঠে এসেছে শ্রোতাদের থেকে, বক্তাদের থেকে, উত্তরও এসেছে প্রচুর। আলোচনা কেন্দ্রীভূত ” ৬১’র আন্দোলনের পূনর্নির্মান” এর ভাবনাতে ।
সবচেয়ে সাংঘাতিক যে বিষয়টি সভায় বিশ্লেষনে উঠে এসেছে সেটা হলো—— ৬১’র আন্দোলনের ইতিহাস আমরা ভুলতে বসেছি, ভুলতে বসেছি, ৭২, ৮৬ এবং ৯৬। আমাদের শিল্পে সংস্কৃতিতে উঠে আসছে না সেই অগ্নিযুগের আত্মবলিদানে রঞ্জিত ধারাবাহিকতার ছাপ। তাই প্রশ্ন উঠছে বারবার “উনিশ কেন প্রাসঙ্গিক?”