
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাগপুর সফরের ঠিক পরদিনই শিবসেনা (উদ্ধবপন্থী) মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত দাবি করেছেন, ‘নরেন্দ্র মোদি সেপ্টেম্বর মাসের পর আর প্রধানমন্ত্রী থাকবেন না। কারণ সেপ্টেম্বরেই নরেন্দ্র মোদির বয়স ৭৫ হয়ে যাচ্ছে। নিজের তৈরি করা অঘোষিত নিয়মের জালেই জড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। এবার অন্য কেউ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন।’
সোমবার রাজ্যসভার এই এমপি বলেছেন, ‘১০ বছরে একবারও নাগপুরে আরএসএস দফতরে যাওয়ার সময় হল না মোদির। তাহলে এ বছরই কেন? কারণ, আরএসএস থেকে তাঁর রাজনৈতিক যাত্রার সূত্রপাত হয়েছিল। সঙ্ঘই তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে। তাই তিনি হয়তো অবসরের আবেদনপত্র জমা দিতেই নাগপুরে গিয়েছিলেন।’
শিবসেনা এবং বিজেপির জোটযাত্রা শুরু নয়ের দশকে। বালাসাহেব ঠাকরে এবং লালকৃষ্ণ আডবানির যৌথ উদ্যোগে ওই মৈত্রী প্রতিষ্ঠিত হয়। বহু উত্থান পতনেও সেই জোটে ফাটল ধরেনি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর শিবসেনা জোট সম্পর্ক ছিন্ন করে। দীর্ঘ পথচলার কারণে মহারাষ্ট্রে বিজেপি, শিবসেনা এবং আরএসএসের মিলিত রসায়ন সব সময়ই ছিল ঘনিষ্ঠ। সেদিন সঞ্জয় রাউতের মন্তব্য, ‘আমাদের কাছে নিশ্চিত খবর আছে, আরএসএস এখন প্রধানমন্ত্রী পদে বদল চাইছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের পর আর মোদিকে ওই পদে রাখতে নারাজ তারা।’ তাঁর আরও চাঞ্চল্যকর দাবি, ‘মোদির উত্তরসূরি, অর্থাৎ পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মহারাষ্ট্র থেকেই হবেন।’ শিবসেনা নেতার অঘোষিত বার্তা, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সঙ্ঘের পছন্দের লোক অমিত শাহ নন।
মহারাষ্ট্র থেকে বাছাই করতে গেলে নিশ্চিতভাবে নাম আসে নীতিন গাডকারি এবং দেবেন্দ্র ফড়নবিশের। দু’জনই আরএসএসের ঘনিষ্ঠ। উপরন্তু ফড়নবিশ নাগপুরের বিধায়ক। গাডকারি নাগপুরের এমপি। তবে সঞ্জয় রাউতের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেছেন, ‘আমাদের নেতা নরেন্দ্র মোদি। আগামী দিনেও তিনিই থাকছেন। ২০২৯ সালেও আমরা তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী চাই। সুতরাং শিবসেনার এই মন্তব্য রাজনৈতিক জলঘোলা করার প্রয়াস। এর মধ্যে বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই।’