India & World UpdatesHappeningsBreaking NewsFeature Story
মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে আজ ভোটগ্রহণ, গণনা শনিবার
ওয়েটুবরাক, ২০ নভেম্বর : ভোটগ্রহণ শুরু মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে। এনডিএ না কি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’, দুই রাজ্যের মসনদে কে বসবে, তা ঠিক হবে এ দিনেই। আগামী শনিবার ভোটগণনা।
আজ বুধবার মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। একই সঙ্গে দ্বিতীয় তথা শেষ দফার ভোট চলছে ঝাড়খণ্ডের ৮১টির মধ্যে ৩৮টি বিধানসভা আসনে। গত ১৩ নভেম্বর বাংলার পড়শি রাজ্যের ৪৩ আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এ বার মহারাষ্ট্রের ৪১৩৬ জন প্রার্থীর জয়-পরাজয় নির্ধারণ করবেন ৯ কোটি ৭০ লক্ষের বেশি মানুষ। মরাঠাভূমে মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত)-এর জোট ‘মহাজুটি’এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র মধ্যে। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলও লড়াইয়ে রয়েছে। অনেকের মতে, এ বারের নির্বাচনে দুই শিবিরের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তাই মহারাষ্ট্রের ভোটে এই সব আঞ্চলিক দল বড় ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে উঠতে পারে। অপর দিকে, ঝাড়খণ্ডেও ক্ষমতার দখলের লড়াইয়ে জোর টক্কর চলছে ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘এনডিএ’-র মধ্যে।
২০১৯-এর বিধানসভা ভোটে ঝাড়খণ্ডে প্রায় সাড়ে ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছিল জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডির ‘মহাগঠবন্ধন’। এ বারও তিন দল একসঙ্গে লড়ছে। সঙ্গে পেয়েছে বাম দল সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-কে। কিন্তু ২০১৯ সালের তুলনায় এ বারের চিত্রটা খানিক আলাদা। জমি কেলেঙ্কারি, দুর্নীতির পাশাপাশি ‘জমি জিহাদে’ মদত দেওয়ার অভিযোগে সরগরম ঝাড়খণ্ডের রাজনীতি। বিজেপি এবং তার শরিক দলের নেতারা বার বার প্রচারের গিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিত শাহ— প্রচারে গিয়ে ঝাঁজ বাড়িয়েছেন হেমন্ত সোরেনের সরকারের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে চম্পই সোরেনের দল বদলও ধাক্কা দিতে পারে ‘মহাগঠবন্ধন’কে, এমনই মত অনেকের। সেই সঙ্গে অনুপ্রবেশ নিয়েও দুই শিবিরের মধ্যে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের পালা চলেছে।