Barak UpdatesBusinessBreaking News

গ্রাহকের অর্থ আত্মসাত করায় করিমগঞ্জে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে কারাদণ্ড

গ্রাহকের অর্থ আত্মসাত করার দায়ে ৪ বছরের জেল হল ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের। মূল দোষী পিয়নের জেল হয়েছে ৫ বছরের। ঘটনা আসাম গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের করিমগঞ্জ জেলার লঙ্গাই রোড শাখায়। ২০০৮ সালে যোগেন্দ্রচন্দ্র ঘোষ নামে এক গ্রাহক মেয়াদ ফুরনোর পর ৬ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট তুলতে যান। তখনই জানতে পারেন, তাঁর টাকা আগেই তোলা হয়ে গিয়েছে। ম্যানেজার বিশ্বজিত ভট্টাচার্য উল্টে যোগেন্দ্রবাবুকে ধমকে ব্যাঙ্ক থেকে বের করে দেন। পিয়ন বিজয়কৃষ্ণ পোদ্দারও ঠেলাধাক্কা করেন। তাঁদের বক্তব্য, যোগেন্দ্রবাবুই ওই টাকা তুলে নিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু ডিপোজিট সার্টিফিকেট তো তাঁদের কাছে রয়েছে। তাহলে কী করে টাকা তুলে নিয়ে গেলেন, সে প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। যোগেন্দ্রবাবু মামলা করলেন। জীবদ্দশায় জেনে যেতে পারেননি, কারা তাঁর টাকা ব্যাঙ্ক থেকে সরিয়ে নিয়েছে। দোষীদের কঠোর শাস্তির জন্য সারাক্ষণ প্রার্থনা করতেন। তাই মৃত্যুর পরে ছেলে দিলীপ ঘোষ এই মামলা চালান। বুধবার করিমগঞ্জ আদালত ততকালীন ম্যানেজার বিশ্বজিত ভট্টাচার্য ও পিয়ন বিজয়কৃষ্ণ পোদ্দারকে দোষী সাব্যস্ত করে। বিজয়কৃষ্ণ পোদ্দারকে ৫ বছরের ও বিশ্বজিত ভট্টাচার্যকে ৪ বছরের কারাদণ্ডের রায় শোনায়। ম্যানেজার ভট্টাচার্য এই বছরের মার্চে অবসর নিয়েছেন। পোদ্দার এখনও কর্মরত।

আর যোগেন্দ্রবাবুর টাকা? তাঁর আইনজীবী দিলীপ দাস জানিয়েছেন, এই ঘটনায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছিল। করিমগঞ্জ সিভিল আদালত আগেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে তাঁর টাকা সুদ সমেত ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। পরে ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে হাই কোর্টে আপিল করা হয়েছে। এখনও এই মামলা বিচারাধীন।

উল্লেখ্য, বুধবার ফৌজদারি আদালতের রায়ের পরই জামিন মঞ্জুর হয়েছে তাদের।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker