Barak UpdatesBreaking News

বরাকের পরিশ্রমী মানুষদের মা-বাবার মত শ্রদ্ধা করিঃ সর্বানন্দ
I respect the toiling people of Barak like my parents: Sarbananda

২ মার্চঃ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ১৮ বার বরাক উপত্যকায় এসেছেন সর্বানন্দ সোনোয়াল। কেন আসেন কিছুদিন পর পর, শনিবার প্রকাশ্য সভায় এর ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, বরাক উপত্যকার মানুষ অত্যন্ত পরিশ্রমী। তাই তাঁদের আমি মাতা-পিতার মত শ্রদ্ধা করি।

তাঁদের কি আর কোনওভাবে অসুরক্ষিত হতে দিতে পারেন!  বললেন, বরাকবাসী সবাই সুরক্ষিত। অহেতুক শঙ্কিত হবেন না। আগের মত এ দিনও তিনি শোনান, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি তো আছি।

শনিবার মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়াল সদরঘাট সেতুর উদ্বোধন করেন। বিমানবন্দর থেকে শহরে ঢোকার মুখে রংপুর প্রান্তে বৈদিক ক্রিয়াকর্ম সারেন, করেন আনুষ্ঠানিকতাও। পরে নতুন সেতু ধরে আসেন পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে।

সঙ্গে বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য। পূর্তমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ও সংস্কৃতি মন্ত্রী নবকুমার দোলের আসার কথা থাকলেও তাঁরা আসেননি। কবীন্দ্র পুরকায়স্থ ও স্থানীয় বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে তিনি রিমোট টিপে পাঁচটি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন।

এর মধ্যে রয়েছে শ্রীকোণা প্রথম খণ্ডে মিনি সচিবালয়, ইটখলার অদূরে বরাক নদীর উপর সেতু, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিতে বিবেকানন্দ গবেষণা কেন্দ্র, পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে স্পোর্টস স্টেডিয়াম এবং জেলা গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহকে আধুনিকতর করে তোলা। মিনি সচিবালয়ের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৪ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এটি ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প। এর কাজ শেষ হলে বরাক উপত্যকার মানুষকে আর গুয়াহাটি ছুটোছুটি করতে হবে না।

জেলা গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহের জন্য মঞ্জুর হয়েছে ২৯ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা। এই অর্থে ১২০০ আসন বিশিষ্ট একটি প্রেক্ষাগৃহ হবে। ১৩০ আসনের দুটি কনফারেন্স হল থাকবে। হবে ৩০০ আসনের মাল্টিপ্লেক্সও। মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য জানান, এ জন্য ১১ কোটি টাকা আগেই মঞ্জুর হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী তা জেনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ৩০ কোটি টাকা দিতে বলেন। শিলচরের বিধায়ক দিলীপকুমার পালের দাবি, এটি উত্তর-পূর্বের সেরা প্রেক্ষাগৃহ হবে। পার্কিং প্লেস, আর্ট গ্যালারি সহ বিভিন্ন সুবিধা থাকবে। এ ছাড়া, পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে স্পোর্টস স্টেডিয়াম তৈরির জন্য মঞ্জুরি মিলেছে ১০ কোটি টাকা। তাতে ফুটবল মাঠ, ইন্ডোর স্টেডিয়াম, প্যাভেলিয়ন, গ্যালারি সবই থাকবে। বিবেকানন্দ গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ১ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে। ইটখলার অদূরে বরাক নদীর ওপর সেতুর শিলান্যাসে অত্যন্ত খুশি বড়খলার বিধায়ক কিশোর নাথ। তিনি জানান, দুই বছরে এর কাজ শেষ হবে। তখন তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র আর গ্রাম থাকবে না। শিলচর শহর সম্প্রসারিত হবে। মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য জানান, কালাইনে আরও একটি সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী পরে বলেন, শুধু কালাইনেই নয়, বরাকের ওপর আরও এক-দুটি সেতু তৈরির ভাবনা রয়েছে তাঁর।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলায় স্বাগত ভাষণ দেন কাছাড়ের নতুন জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরি। বক্তব্য রাখেন পূর্ত কমিশনার রাজেশ কেম্প্রাইও। শিলচরের বিধায়ক দিলীপকুমার পাল কংগ্রেসকে খোঁচা মেরে বলেন, এক মুখ্যমন্ত্রী (তরুণ গগৈ) বলেছিলেন, বরাকের মাটি ভাল নয়। এখন তাঁরা দেখুন, এই মাটিতেই কীভাবে কাজ করা যায়! এ দিনের অনুষ্ঠানে সাংসদ সুস্মিতা দেব, রাধেশ্যাম বিশ্বাস সহ বরাক উপত্যকার কংগ্রেস, এআইইউডিএফ বিধায়করাও আমন্ত্রিত ছিলেন। কিন্তু তাঁদের কেউ যাননি। সুস্মিতা দেব সেতু উদ্বোধনে গেলেও পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে ছিলেন না। দিলীপবাবু তাঁকেই কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন, এই ধরনের অনুষ্ঠানে তাদের ভাল লাগে না। তাঁরা ভাল পান পুরুষের কাঁধে চড়ে বেড়াতে।

English text here

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker