Barak UpdatesIndia & World UpdatesHappeningsBreaking News

শিলচর জেলে বন্দি ৬ বাংলাদেশির ট্র্যাভেল পারমিট মঞ্জুর

ওয়েটুবরাক, ২৫ অক্টোবর : ফের পরিবারের সঙ্গে এক হতে চলেছেন লালন মিয়া, মনির উদ্দিনরা। কাছাড় ও করিমগঞ্জের ছয় বাংলাদেশি নাগরিকের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁদের সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। বকোর আশাদীপ শেল্টার হোমের তিনজন ব্যক্তির ঠিকানাও যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল। ফাইমা বেগম ও মহম্মদ রহিম মিঁয়া ওরফে ফিরদৌসের ঠিকানা নিয়ে সবুজ সংকেত মিললেও তৃতীয় ব্যক্তির ঠিকানা যাচাই হয়নি। অসমে ধরা পড়া ওই আটজনের ট্র্যাভেল পারমিট মঞ্জুর করেছে বাংলাদেশ সরকার৷

এ ছাড়াও মেঘালয়ে বন্দি মোট ৩৫ জন বাংলাদেশি নাগরিকেরও সাজার মেয়াদ শেষ। তাঁদের মধ্যে ১৭ জনের ঠিকানা ও পরিচয় যাচাই করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তাঁদেরও এবার বাড়ি ফেরার পালা। তিন মাসের মেয়াদ থাকা ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করা হয়েছে তাদের জন্যও। অসমের আটজন মহম্মদ লাল মিঁয়া কাজী, মহম্মদ লালন মিঁয়া, মহির উদ্দিন, মহম্মদ আব্দুল মতিন, ফরিদ আলম ওরফে আকাশ, আতাবুর রহমান, ফাইমা বেগম ও মহম্মদ রহিম মিঁয়া ওরফে ফিরদৌস৷ লাল মিঁয়া শিলচরেই ধরা পড়েছিলেন৷ পরের পাঁচজন করিমগঞ্জে ধরা পড়ে সেখানকার জেলে সাজার মেয়াদ কাটিয়ে এখন আছেন শিলচর ডিটেনশন সেন্টারে৷ ৪৫ বছরের ফাইমা বেগমকে ২০১৯ সালে গুয়াহাটির ভাঙাগড়ের রাস্তায় ডাস্টবিন থেকে খাবার কুড়িয়ে খাওয়ার সময় উদ্ধার করা হয়েছিল। তাঁর স্মৃতি ছিল ঝাপসা। কথা অসংলগ্ন। ২০১৯ সালেই পানবাজারে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো ৩০ বছরের মহম্মদ রহিমকে উদ্ধার করা হয়। অপ্রকৃতিস্থ ছিলেন তিনিও। মানসিক ভারসাম্যহীন নাগরিকদের জিম্মা ছিল আশাদীপ সংস্থার কাছে। সকলেরই মানসিক চিকিৎসা হয়েছে। বাড়ির ঠিকানা মনে পড়েছে ফাইমা ও রহিমের। এখন শুধু অপেক্ষা কবে যাবতীয় প্রক্রিয়া সেরে স্বদেশে ফিরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হবেন৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker