Barak UpdatesHappeningsBreaking News
সুপ্রিম রায়ে শিলচর ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মুক্ত তিন মহিলা3 women released from Silchar detention camp as per SC directive
২১ এপ্রিল : সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে লকডাউনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মুক্তি পেলেন কয়েকজন বন্দি। মঙ্গলবার শিলচর কারাগারে থাকা ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে তিন মহিলাকে মুক্ত করা হয়েছে। এই তিন মহিলা জয়পুরের সীমা বর্ধন, লাঠিগ্রামের মিনারা বেগম ও ঠালিগ্রামের সুলেখা দাস। এঁদের সঙ্গে একই দিনে আজ মুক্ত জীবনের স্বাদ পেলো নয় বছরের ছোট্ট সাহানারা বেগম।
সাহানারা মিনারা বেগমের মেয়ে। তার নামে নোটিশ না এলেও এই পৃথিবীর আলো দেখার পরই মায়ের সঙ্গে তাকেও চলে যেতে হয়েছিল জেলে। তখন মিনারা মাত্র ১৫ দিনের। ২০০৯ সালের আগস্ট মাসে মায়ের নামে নোটিশ আসার পর সাহানারাকেও চলে যেতে হয় কোকরাঝাড় ডিটেনশন ক্যাম্পে। পরে সেখান থেকে তাদের শিলচরে নিয়ে আসা হয়। মিনারা বেগমরা লাঠিগ্রামের পুরনো বাসিন্দা। ১৯৪৬ সাল থেকে তাঁরা ওই এলাকায় বসবাস করছেন। সঙ্গে জমির কাগজপত্রও রয়েছে। কিন্তু নিরক্ষরতার জন্য সময়মতো সেসব দেখাতে না পারায় গত ১০ বছর থেকে বন্দি মিনারা। তাঁর স্বামীও অর্থের অভাবে এ নিয়ে মামলা চালিয়ে যেতে পারেননি। আর ভাগ্যের পরিহাসে অবোঝ শিশুটিও জন্মের পর থেকেই বন্দি ছিল ডিটেনশন ক্যাম্পে।
সুলেখা দাস বন্দি রয়েছেন গত দু বছর ধরে। ২০১৮ সালের এপ্রিলে একদিন থানায় ডেকে কথাবার্তা বলার পরই ডিটেনশন ক্যাম্পে চালান করে দেওয়া হয় ৬৫ বছরের এই বৃদ্ধাকে। ১৮ এপ্রিল তাঁর দু’বছর পূর্ণ হল। জয়পুরের সীমা বর্ধন ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ থেকে আসেন। প্রথমে থাকতেন ত্রিপুরায়। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে তাঁকে বিদেশি ঘোষণা করে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। এরপর ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে তিনি ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি। অর্থাৎ গত তিন বছর থেকে তিনি বন্দি ছিলেন।
এ বার একইসঙ্গে জামিনে তিন বন্দি মুক্তির আনন্দ পেলেন। উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় অন্ততপক্ষে যারা ডিটেনশন ক্যাম্পে দু’বছর কাটিয়েছেন, এমন বন্দিদের সীমান্ত পুলিশের মাধ্যমে জামিনে মুক্তি দেওয়ার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এর প্রেক্ষিতেই এই তিনজনকে মঙ্গলবার মুক্তি দেওয়া হয়েছে।