Barak UpdatesHappeningsBreaking News
১৯ মের দিনে পরীক্ষা কেন, স্মারকলিপি ডিএসওর
ওয়েটুবরাক, ৯ এপ্রিল: ১৯ শে মে তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আজ শুক্রবার এআইডিএসও’র কাছাড় জেলা কমিটির পক্ষ থেকে দুটি স্মারকপত্র ‘সেবা’ ও আসাম হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন কাউন্সিলের সচিবের নিকট জেলাশাসক মারফত প্রেরণ করা হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, মাতৃভাষা আন্দোলনের অন্যতম গৌরবোজ্জ্বল দিন ১৯ শে মে৷ সেদিন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার দিন ধার্য করার পেছনে উগ্র-প্রাদেশিকতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি পরিলক্ষিত হয়েছে ।
১৯ শে মে রাজ্যে বসবাসকারী মাতৃভাষা প্রেমিক জনগণের কাছে অত্যন্ত মর্যাদার দিন। এই দিনে শিলচর শহরে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার আন্দোলনে সামিল ১১ জন ভাষাপ্রেমিক জনগণকে তদানীন্তন আসাম সরকারের পুলিশ নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছিল।
শিলচর সহ বরাক উপত্যকার জনগণ সেদিন নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাতৃভাষা আন্দোলনের অমর শহীদদের শ্রদ্ধা জানান, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও সেদিন ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকারা শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠানে সামিল হন।
মাতৃভাষা আন্দোলনের এই বিশেষ দিনটি সম্পর্কে ‘সেবা’ ও আসাম হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন কাউন্সিল অবহিত না থাকার কথা নয়। এরপরও এই দিনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া হল, প্রশ্ন তোলা হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। স্মারকপত্রে এও প্রশ্ন তোলা হয় যে পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই বরাক উপত্যকার তিন জেলার সচেতন নাগরিক সহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৯ শে মে তারিখে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না করার দাবি জানানো সত্ত্বেও তা পরিবর্তন হল না কেন?
সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মারকপত্র মারফত জোরালো দাবি উত্থাপন করা হয় যে ১৯ শে মে তারিখে ভাষা আন্দোলনের অমর শহীদদের আত্মবলিদানের প্রতি সন্মান প্রদর্শনে সবাইকে সামিল হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না করতে পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করা হোক। অন্যথায় ছাত্র-ছাত্রী ও জনগণের পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি প্রদান করা হয়। স্মারকপত্র প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন পল্লব ভট্টাচার্য, আপন লাল দাস, তুতন দাস, স্বপন চৌধুরী, ডোনা বর্মন প্রমুখ।