India & World UpdatesHappenings

সুস্মিতার পর সুপ্রিয়

ওয়েটুবরাক, 19 সেপ্টেম্বরঃ তৃণমূলে যোগ দিলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা মোদি সরকারের সদ্য-প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে শনিবার তিনি ঘাসফুল শোভিত পতাকা হাতে তুলে নেন। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলে মন্ত্রিত্ব খোয়ান বাবুল। সঙ্গে সঙ্গেই এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মোদি মন্ত্রিসভার দু’বারের মন্ত্রী। রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণার পাশাপাশি জানান তিনি সাংসদ পদও ছেড়ে দেবেন। পরে জানান, তিনি রাজনীতি ছেড়ে দিলেও সাংসদ পদ ছাড়ছেন না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা তিবরেওয়ালের হয়ে বাবুলকে প্রচারে নামার ডাক দিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। তারকা প্রচারক হিসেবে তালিকায় নামও ছিল তাঁর। তা জানার সঙ্গে সঙ্গেই বাবুল জানিয়ে দেন, তিনি ভবানীপুরে বিজেপি-র প্রচারে যোগ দেবেন না। এর পরই সুস্মিতা দেবের মতো দিদির দলে নাম লেখান।

বাবুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে শনিবার জোড়া সম্ভাবনার জন্ম হল। একটি হল, তাঁর রাজ্যসভায় যাওয়া। গত বৃহস্পতিবারই রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছেড়েছেন অর্পিতা। ২০২০ সালে সাংসদ হওয়া অর্পিতার সাংসদ পদের মেয়াদ রয়েছে ২০২৬ পর্যন্ত। অর্পিতার ইস্তফার পরে এক দিন যেতে না যেতেই বাবুলের আগমনে তাই নতুন জল্পনা তৈরি হয়েছে। কারণ, তৃণমূল সূত্রেই জানা গিয়েছিল, অর্পিতার জায়গায় কোনও ‘চমক’ দেওয়ার ভাবনা রয়েছে দলের। রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেকই তৃণমূলের তরফে বাবুলকে দলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাবটি দিয়েছিলেন।

বাবুল জানিয়েছেন, ‘‘তৃণমূলে যোগদানের প্রস্তুতি গত তিন-চার দিন ধরেই চলছিল। রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু বাংলার মানুষের জন্য কাজ করার এত বড় সুযোগ ছাড়তে পারিনি।’’

বাবুলের এই ‘বাংলার মানুষের জন্য কাজ করার এত বড় সুযোগ’ বাক্যবন্ধ থেকেই তৈরি হয়েছে দ্বিতীয় সম্ভাবনা। তবে কি তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য হতে চলেছেন? এমন সম্ভাবনা নিয়ে বাবুল কিছু বলেননি। তৃণমূলের কেউ প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করছেন না।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে রাজনীতিতে যোগদান বাবুলের। সে বারই ৭০ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে তৃণমূলের শ্রমিকনেত্রী দোলা সেনকে হারান বাবুল। এর পরে বাবুলের মন্ত্রিত্ব। পাঁচ বছর পরে আরও ভাল ফল হয় আসানসোল কেন্দ্রে। ২০১৯ সালে বাবুল তৃণমূলের মুনমুন সেনকে হারিয়ে দেন প্রায় দু’লাখ ভোটে।

দু’বারই জয়ের পর মন্ত্রী হয়েছেন। দু’বারই অবশ্য প্রতিমন্ত্রী। প্রথমবার কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী। এর পরে ২০১৬ সালে দফতর বদলে হয় ভারী শিল্প এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প। ২০১৯ সালে সাংসদ হওয়ার পরে বাবুল তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী হন। কিন্তু গত ৭ জুলাই মন্ত্রিসভার রদবদলে বাদ পড়েন বাবুল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker