Barak UpdatesHappeningsAnalytics
সব প্রশাসনিক কক্ষেই ৫ ফুট জল, নথি-সরঞ্জাম ভিজে নষ্ট রাধামাধব কলেজে
ওয়ে টু বরাক প্রতিবেদন, ২ জুলাই : শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ভবনের পুরোটাই জলের নিচে। কক্ষের ভেতরেই সাড়ে চার ফুটের বেশি জল। রাস্তায় জল ৫ ফুটেরও বেশি। ফলে প্রতিষ্ঠানের সব নথিপত্রই জলে ভিজে নষ্ট হয়েছে। এ বারের ভয়াবহ বন্যায় এই কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে শিলচরের রাধামাধব কলেজ। কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করবেন, তা ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছেন না কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজের গ্রাউন্ড ফ্লোরেই ছিল সব প্রশাসনিক কক্ষ। এর মধ্যে অধ্যক্ষের কক্ষ সহ ছিল অফিস রুম, টিচার্স কমন রুম, কনফারেন্স রুম, একজামিনেশন সেল, গার্লস কমন রুম। সব কক্ষের আসবাবপত্র ভেঙেচুরে নষ্ট হয়েছে। টেবিলের উপর দিয়ে জল যাওয়ায় এতে থাকা সব নথিপত্র ভিজে নষ্ট হয়েছে। অনেক টেবিলের ড্রয়ার পর্যন্ত ভেঙে গেছে। বসার মতো চেয়ার পর্যন্ত নেই। কারণ লেদার ও ফোমের তৈরি চেয়ারগুলোর কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। কলেজের ৯টি ডিপার্ট্মেন্টের নিজস্ব রুমের বইয়ের র্যাকগুলোও জলের তলায় ছিল। পানীয় জলের ট্যাঙ্কটিও বন্যার জলে শেষ করে দিয়েছে। জল তোলার মোটর নষ্ট হয়েছে। এই অবস্থায় এখন কলেজে পানীয় জল পর্যন্ত নেই।
শনিবার কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস রায় এই অসহায় পরিস্থিতির খবর জানাতে গিয়ে বলেছেন, দীর্ঘ এতো বছরের নথিপত্র কী করে উদ্ধার করা যাবে, তার কোনও উপায় তাঁরা খুঁজে পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, কলেজের ১৫টি স্টিল আলমারির দুটি তাক জলের তলায় ছিল। মোট ২৮টি কম্পিউটার ও ৪টি জেরক্স মেশিন জলে নষ্ট হয়েছে। এছাড়া কলেজের বড় দুটি জেনারেটরেও জল ঢুকেছে। সব মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৫০ লক্ষ টাকা হবে। এতো বিশাল ক্ষতি কোনও সরকারি সাহায্য ছাড়া পূরণ করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও জানিয়েছেন, এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও কলেজে নতুন ভর্তি শুরু হয়েছে। কোনও কক্ষ ব্যবহার করে তা করা যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে কলেজ প্রাঙ্গণে চেয়ার টেবিল নিয়ে বসে অ্যাডমিশন করাতে হচ্ছে। এর পাশাপাশি পুরো কলেজকে সাফসুতরো করে পুনরায় চালু করাও বেশ দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু তারপরও যথাসাধ্য চেষ্টা তাঁরা করে যাচ্ছেন বলে এ দিন অধ্যক্ষ উল্লেখ করেছেন।