Barak UpdatesHappeningsBreaking News
শিলচরে বিপ্লবী উল্লাসকরের জন্মদিন পালিত
ওয়েটুবরাক, ১৬ এপ্রিল : উল্লাসকর দত্ত ছিলেন কালীকচ্ছ গ্রামের মানুষ৷ কলকাতায় কাটিয়েছেন দীর্ঘদিন৷ বিপ্লবী হিসাবে দেশজোড়া খ্যাতি ছিল৷ কিন্তু তাঁর সম্পর্কে লেখালেখি, গবেষণা শিলচর থেকেই শুরু হয়৷ দাবি করেছেন কাছাড় কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. সুখময় ভট্টাচার্য৷ তাঁর কথায়, তিনি যখন উল্লাসকর দত্তের শিলচর-পূর্ব জীবন সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছিলেন, তখন কোথাও লিখিত তথ্য কিছু খুঁজে পাচ্ছিলেন না৷ বহু কষ্টে রচনা করেন ‘সাগ্নিক উল্লাস’৷ পরে কলকাতা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের গবেষকরা তাঁর বইটিই চেয়ে নিয়েছেন৷
শনিবার শিলচরে উল্লাসকর দত্তের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ড. ভট্টাচার্য৷ সকাল ঠিক আটটায় উল্লাসকর দত্তের মূর্তির পাদদেশে অনুষ্ঠান শুরু হয়৷ বক্তব্য রাখেন ড. বিভাসরঞ্জন চৌধুরী, প্রবীর রায়চৌধুরী, পীযূষ চৌধুরী প্রমুখ৷
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সিডিসি ডিরেক্টর ড. চৌধুরী বলেন, দুজন পাগল গোটা দেশবাসীকে পাগল করে দেন৷ সুভাষচন্দ্র বসু ও উল্লাসকর দত্ত৷ দুজনই সন্ন্যাসী৷ তাঁর কথায়, উল্লাসকরের ওপর প্রচণ্ড অত্যাচার চলত সেলুলার সেলে৷ তাতেই মানসিক ভারসাম্য হারান তিনি৷ কিন্তু ভুলে যাননি লীলা পালকে৷ খণ্ডিত স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেননি৷ চলে গিয়েছিলেন কালীকচ্ছ গ্রামে৷ পরে লীলার জন্যই ফিরে আসেন কলকাতায়৷ বিয়ে করে পঙ্গু স্ত্রীকে রান্না করে খাওয়াতেন, গান শোনাতেন৷
পীযূষ চৌধুরী তীব্র সমালোচনার সুরে বলেন, ১৫ আগস্ট ও ২৬ জানুয়ারিতে প্রশাসনের তরফে এই বিপ্লবীর মূর্তিতে একটা ফুলও দেওয়া হয় না, তা নিন্দনীয়৷ পীযূষবাবুই এ দিন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন৷ অনুষ্ঠানে সক্রিয় উপস্থিত ছিলেন অশোক দেব, সৌগত (বুদ্ধ) পাল, মৃন্ময় রায় প্রমুখ৷