‘র‌্যাগিং’য়ের শিকার, গুজরাটের মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু

ওয়েটুবরাক, ১৮ নভেম্বর: তিন ঘণ্টা ঠায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। গুজরাটের মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার। পুলিশের তরফে কলেজের অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।

গুজরাটের ধরপুরের জিএমইআরএস মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন ১৮ বছরের অনিল নটবরভাই মেথানিয়া। অভিযোগ, শনিবার রাতে ওই কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্ররা প্রথম বর্ষের কয়েকজন ছাত্রকে ডেকে পাঠান। তিন ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয় তাঁদের। একটুও বসতে দেওয়া হয়নি। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ানোর পর একে একে তাঁদের পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। সেই সময়েই অনিল আচমকা মাথা ঘুরে পড়ে যান। সংজ্ঞা হারান তিনি।

ছাত্রছাত্রীরাই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

কলেজের অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটি ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। কলেজের ডিন হার্দিক শাহ জানিয়েছেন, র‌্যাগিংয়ে অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

পাটনের এসপি রবীন্দ্র পটেল জানিয়েছেন, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। কলেজের অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির কাছ থেকে যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। তার ভিত্তিতে পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।