Barak UpdatesHappeningsBreaking News
রায়ের আগেই ফেসবুকে পোস্ট, বিধায়ক সাজুকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
ওয়েটুবরাক, ১১ এপ্রিলঃ বিচারাধীন মামলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অসত্য তথ্য, বিভ্রান্তিকর পোস্ট নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট কড়া মনোভাব গ্রহণ করেছে। সোনাইর ইউডিএফ বিধায়ক করিমুদ্দিন বড়ভুইয়া ওরফে সাজুর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা গ্রহণ করে আগামী শুনানির দিনে সশরীরে উপস্থিত হতে নির্দেশ দিয়েছে।
গত ২০ মার্চ সাজু ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা আমিনুল হক লস্করের মামলায় শীর্ষ আদালত তাঁর পক্ষে রায় দিয়েছে। আসলে ওই দিনে মামলার চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়েছিল। কিন্তু রায়দান হয়নি। তাতেই অসন্তষ্ট আদালত মন্তব্য করে যে, মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় আদালতের বিশ্বস্ততার জায়গা নষ্ট করা হচ্ছে। সঙ্গে জনগণকেও বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার আমিনুল হকের আইনজীবী জয়দীপ গুুপ্ত সোমবার এ ব্যাপারে শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপ প্রার্খনা করেন।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সোনাই আসনে বিজেপি প্রার্থী আমিনুল হক লস্করকে পরাস্ত করে বিজয়ী হন ইউডিএফের করিমুদ্দিন বড়ভুইয়া। এর পরই হাই কোর্টে মামলা করে আমিনুল অভিযোগ করেছিলেন, মনোনয়ন পত্র জমার সময় তিনি ভুল তথ্য দিয়েছেন। হাই কোর্ট ওই মামলা খারিজ করে দেয়। আমিনুল পরে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।
বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর বেঞ্চ আপিলের রায়ের আগেই করিমুদ্দিন বড়ভুইয়ার ফেসবুক পোস্টে বলেন, বিচার ব্যবস্থার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। বিচার চলাকালে বিচারপতিদের নানা মন্তব্যকেও অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্টোপাল্টা বিবৃত করা হয়। এগুলি বিচারপদ্ধতি নিয়েই সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্নের অবতারণা করে। তাই আদালত অবমাননার মামলাটি গ্রহণ করে করিমুদ্দিনকে চার সপ্তাহ পরে আগামী শুনানির দিনে সশরীরে উপস্থিত হতে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত সোমবার অবশ্য আমিনুল হকের আপিল মামলার রায় দেওয়া হয়েছে। তাতে সাজুরই জয় হয়। শীর্ষ আদালতও আমিনুলের অভিযোগ খারিজ করে দেয়। কিন্তু এ নিয়ে আগ বাড়িয়ে ফেসবুক পোস্ট করে নতুন মামলায় জড়ালেন বিধায়ক করিমুদ্দিন।