India & World UpdatesBreaking News
রাত নামল চাঁদের বুকে, বিক্রমের সঙ্গে সংযোগের সম্ভাবনায় ইতি
২২ সেপ্টেম্বর : চাঁদের বুকে নেমে এসেছে রাত। বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগের সব সম্ভাবনা প্রায় শেষ। আশার আলোও সেইসঙ্গে অন্ধকারে ঢেকেছে। চাঁদের বুকে নেহাতই জঞ্জাল হয়ে পড়ে থাকবে প্রজ্ঞানকে পেটে নিয়ে ভারতের ল্যান্ডার বিক্রম। অবশ্য পুরোদমে কাজ করছে চন্দ্রযান-২ -এর অরবিটার। এটি ৯৮ শতাংশ লক্ষ্যপূরণে সফল হয়েছে বলে জানালেন ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিবান।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এক পক্ষকাল সূর্যের আলো থাকে। এক পক্ষকাল অন্ধকার। অন্ধকারে চাঁদের বুকে পারদ নামবে মাইনাস ১৮০ ডিগ্রির কাছে। সূর্যের আলোর এক পক্ষকালের হিসাবে মেনেই সেখানে ল্যান্ডার বিক্রমকে নামিয়ে প্রজ্ঞান রোভারকে চাঁদের বুকে ঘোরাতে চেয়েছিল ভারত। বিজ্ঞানীরা ঠিক করেছিলেন সোলার প্যানেল দিয়ে নিজের নিজের কাজ সারবে বিক্রম ও প্রজ্ঞান। ১৪ দিন টানা কাজ করবে প্রজ্ঞান। কিন্তু চাঁদের বুকে নামার ২ মিনিট আগেই বিক্রমের সঙ্গে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর। তারপর থেকে অনেক চেষ্টা চালিয়েও যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি।
এ দিকে শনিবার আইআইটি ভুবনেশ্বেরে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সিবান বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দুটি ক্ষেত্রে সাফল্য আসা দরকার। আর অরবিটারটি দুটি ক্ষেত্রেই প্রায় সফল। এটি ৯৮ শতাংশ সফল। ২০২০-তে আরও একবার চন্দ্র অভিযানের সম্ভাবনার কথা জানান কে সিবান। তিনি বলেন, এই বিষয়ে কথাবার্তা চলছে, এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আগে ল্যান্ডার বিক্রমে কী সমস্যা হয়েছে, সেটা বোঝার চেষ্টা চলবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে আগামী সাড়ে সাত বছর ধরে কাজ করবে অরবিটার।
অরবিটারটির নাম চন্দ্রযান-২। একটি বাক্সের মত দেখতে একটি জিনিস। যার ওজন ২৩৭৯ কেজি। এই অরবিটার থেকে ১০০০ ওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ জেনারেট করতে পারে এই অরবিটার। ল্যান্ডারের সঙ্গে ও ভারতের স্পেস নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারে এটি। অরবিটারের মধ্যে একাধিক উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন জিনিস রয়েছে। রয়েছে একটি ম্যাপিং ক্যামেরা, একটি স্পেকট্রোমিটার, একটি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার। একটি ইনফ্রারেড স্পেকট্রোমিটার, একটি এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার ও একটি সোলার এক্স রে মনিটর। এটি সাড়ে ৭ বছর চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও ছবি পাঠাবে ভারতে।