Barak UpdatesBreaking News
রাঁধুনিদের মিছিল শিলচরে, স্মারকপত্র মুখ্যমন্ত্রীকে
৭ জানুয়ারি : রাঁধুনিদের বিরুদ্ধে সরকারের নতুন নির্দেশনায় এ বার রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানালেন বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগপ্রাপ্ত রাঁধুনিরা। সিটুর কাছাড় হাইলাকান্দি জেলা কমিটির তত্ত্বাবধানে সোমবার সারা আসাম মধ্যাহ্ন ভোজন কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা শিলচর নরসিংটোলা মাঠ থেকে প্রতিবাদী মিছিল করে যান কাছাড়ের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকের কার্যালয়ে। সেখানে বিক্ষোভ পালনের পর মধ্যাহ্ন ভোজন কর্মীরা প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে একটি স্মারকপত্র পাঠান।
এ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিটু নেতা সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, রাঁধুনিদের ভবিষ্যত নিয়ে সরকার ছিনিমিনি খেলছে। তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। তিনি জানান, রাজ্য সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের আয়ুক্ত এক নির্দেশে বলেছেন, রাজ্যের ২৮টি জেলা বিদ্যালয় সমূহের কেন্দ্রীয় রন্ধন শালার মাধ্যমে ১৫টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে মধ্যাহ্ন ভোজন বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত মধ্যাহ্ন ভোজন প্রকল্পে থাকা রন্ধন কর্মীদের স্বার্থের পরিপন্থী। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো এই প্রকল্পটিও ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বলে ইউনিয়ন এর তীব্র বিরোধিতা করছে।
স্মারকপত্রে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় রন্ধনশালার মাধ্যমে মধ্যরাতে বা শেষরাতে খাদ্য প্রস্তুত করে তা ১২টার পর পরিবেশন করলে সতেজ ও পুষ্টিকর থাকতে পারে না। এই খাদ্য শিশুর জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। তাঁদের দাবি-দাওয়ার মধ্যে রয়েছে, প্রকল্পটিকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া চলবে না এবং রন্ধন কর্মীদের অতিরিক্ত ৫০০০ টাকা করে বছরের ১২ মাসই সাম্মানিক দিতে হবে। তাছাড়া রন্ধন কর্মীদের পেনশন ও চিকিৎসা সাহায্য সহ সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করতে হবে। স্মারকপত্র প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন অপরাজিতা চক্রবর্তী, শীলা মণ্ডল, সাহামারা বেগম, সুপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিধান দত্ত প্রমুখ।