India & World UpdatesHappeningsBreaking News
মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশ-বিএনপি চরম সংঘাত, আজ হরতাল
ওয়েটুবরাক, ২৯ অক্টোবর : উত্তাপ ছড়িয়েছে ঢাকার রাজপথে৷ শনিবার মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশ-বিএনপি চরম সংঘাত বাঁধে৷
এর জের ধরে বিএনপি কর্মীরা প্রধান বিচারপতির বাড়ি, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল, পুলিশ বক্সে হামলা চালায়৷ বেশ কয়েকটি বাস ও অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেয়৷
পুলিশও বিএনপি নেতা-কর্মীর উপর লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে৷ সংঘর্ষের মধ্যে বেধড়ক পিটুনির শিকার হয়ে একজন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন৷ আহত হয়েছেন বিএনপির বিপুলসংখ্যক কর্মী৷ প্রতিবাদে আজ রবিবার সারাদেশে হরতাল ডেকেছে দলটি৷
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কাকরাইল মসজিদের সামনে ঘটনার সূত্রপাত৷ ওই পথ ধরে আওয়ামি লিগ কর্মীদের একটি বাস যাওয়ার সময় বাসের জানালায় ইট এসে পড়ে৷ তখন লিগের কর্মীরা দ্রুত বাস থেকে নেমে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান৷ এর মধ্যে বিএনপির একটি মিছিল থেকে বাসে ভাঙচুর করা হয়৷ এ সময় পুলিশ এগিয়ে গেলে সংঘর্ষের শুরু হয়৷
পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে৷ এরপর সংঘাত একটু করে বাড়তে থাকে৷ তখন বিএনপি নেতা-কর্মীরা পাশেই প্রধান বিচারপতির বাড়ির ফটকে হামলা চালায়৷ তারা বাড়ির নামফলক ভেঙে ফেলেন৷ গেটেও ভাঙচুর করেন৷
বেলা একটার কিছু আগে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে কাকরাইল মোড়ের দিকেও৷ পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের জবাবে বিএনপি কর্মীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন৷ বেশ কয়েকজন বিএনপি কর্মীকে পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেল তুলে উল্টো পুলিশের দিকে ছুঁড়ে মারতে দেখা যায়৷ কাকরাইল মোড়ে একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বেলা সোয়া একটার দিকে আগুন দেওয়া হয়৷
ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে রাখা গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে৷ কিছুক্ষণের মধ্যে কাকরাইল মসজিদের সামনে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়৷
পুলিশ বলেছে, বিএনপির নেতা-কর্মীরা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালেও আগুন দিয়েছে৷ সেখানে তারা দুটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশি বাধার মুখে বিএনপির নয়াপল্টনের সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়৷ সমাবেশ শেষ হওয়ার আগে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রবিবার হরতালের ঘোষণা দেন৷
পরে নয়াপল্টন এবং রাজধানীর অন্যান্য স্থানে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে৷ এসব ঘটনায় বিএনপির বহু নেতা-কর্মীর পাশাপাশি পুলিশ ও সাংবাদিকেরা আহত হয়েছেন৷
পুলিশ দাবি করেছে, তাদের ৪১ জন সদস্য আহত হয়েছেন৷ ফকিরাপুল মোড়ে হামলার শিকার হয়ে পারভেজ নামে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হন৷ ফকিরাপুল মোড়ে পুলিশের ওপর যখন হামলা হয় তখন ওই পুলিশ সদস্যসহ চার পুলিশ একটি ভবনে ঢুকে পড়েন৷ সেখান থেকে হঠাৎ ওই পুলিশ সদস্য বাইরে বেরিয়ে যান৷ তখনই তার উপর হামলা চালানো হয়৷ বিক্ষোভকারীরা পুলিশ সদস্যের মাথায় আঘাত করেন৷
আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘‘হরতাল এখন ভোঁতা অস্ত্র৷ এ অস্ত্রে কোনো কাজ হবে না৷ আমরা শান্তি চাই৷ এজন্য সারা দেশে আগামীকাল শান্তি সমাবেশ করব৷”