NE UpdatesHappeningsBreaking News
মণিপুর নিয়ে ধীরে চলো নীতি এনডিএর ক্ষতি করতে পারে, সতর্ক করলেন জোরাম
ওয়েটুবরাক, ২ আগস্ট : মণিপুর ইস্যুতে কেন্দ্রের ধীরে চলার নীতি জোরাম থাঙ্গার কাছে রহস্যজনক ঠেকছে৷ তাতে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে গোটা উত্তর-পূর্বেই এনডিএ-র ফল খারাপ হতে পারে বলে কেন্দ্রকে সতর্ক করে দিয়েছেন মিজোরামের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী, এমএনএফ নেতা জোরাম৷
মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্তি ফেরানোর উপায় বলতে গিয়ে তিনি সোজাসুজিই জানিয়ে দেন, বীরেনের দিকে তাকিয়ে থেকে লাভ হবে না৷ বল এখন বীরেন সিংহের পায়ে নেই৷ এই পর্যায়ে একমাত্র কেন্দ্রকেই পদক্ষেপ করতে হবে৷ কিন্তু কেন্দ্রের ভূমিকায় তিনি অনেকটাই হতাশ৷ তিনমাস ধরে মণিপুরের ১২০০০ শরণার্থী তাঁর রাজ্যে রয়েছেন৷ কেন্দ্রের কাছ থেকে তাঁদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বাবদ ১০ কোটি টাকা চেয়েও সাড়া মিলছে না বলে আক্ষেপ ব্যক্ত করেন এনডিএ জোটের শরিক মুখ্যমন্ত্রী৷
জোরাম বলেন, মণিপুরে প্রতিদিন তাঁর কুশপুতুল পোড়ানো হচ্ছে, তাতে তাঁর কোনও ক্ষোভ নেই৷ এমনকী মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ তাঁর বিরুদ্ধে সে রাজ্যের অভ্যন্তরিণ ব্যাপারে নাক গলানোর অভিযোগ করেছেন, তাতেও তাঁর কোনও দুঃখ নেই৷ কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক নেতাদের কুশপুতুল পোড়ানো হবেই৷ আঁতে ঘা লাগলে প্রতিবেশী মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে নিজের চরকায় তেল দিতেই পরামর্শ দেবেন৷ কিন্তু জো জনগোষ্ঠীকে এক প্রশাসনিক ছাতার তলায় আনার প্রচেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন তুললে সইতে পারেন না জোরাম থাঙ্গা৷ জানিয়ে দেন, এটি তাঁদের আজকের দাবি নয়৷ মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতিতে এই দাবির জন্ম হয়নি৷ ৭৯ বছর বয়সী জোরাম জানান, ১৯৬১ সালে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের যখন জন্ম হয়েছিল, তখনই নিজেদের এই লক্ষ্য স্থির হয়েছিল৷ আর ওই লক্ষ্য পূরণে তিনি কাজ করে যাবেনই৷
২৫ জুলাইর মিছিলে হাঁটায় তাঁকে দোষারোপ করা হচ্ছে জেনে তিনি বিস্মিত৷ বলেন, মণিপুরে শান্তি চেয়ে মিছিল হয়েছে সে দিন৷ তিনিও প্রতিবেশী রাজ্যটিতে শান্তি ফিরে আসুক, এই প্রার্থনা করেন৷ তাই একজন শান্তিকামী সাধারণ জনতা হিসেবেই মিছিলে হেঁটেছেন৷