Barak UpdatesHappeningsFeature Story
বড়াইলের প্রাণীদের সম্পর্কে জানতে বসছে ৫০ ক্যামেরা
১৮ জুলাই: বড়াইল অভয়ারণ্যে চায়না প্যাঙ্গোলিন, উড়ন্ত শেয়াল, হিমালয়ান কালো ভল্লুক, হুলোক গিবন, ক্লাউডেড লেপার্ড, হর্নবিল, কিং কোবরা রয়েছে৷ ২০১৮ সালে এ কথা লিখেছেন তৎকালীন অ্যাডিশনাল প্রিন্সিপাল চিফ কনজারভেটর এমকে যাদব৷ একই কথার অনুরণন শোনা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের নানা লেখায়৷ আবার এই অভয়ারণ্য ব্রডগেজ, মহাসড়কের প্রতিবন্ধক হয়ে উঠলে প্রশ্ন ওঠে, কয়েকটি সাপ আর হরিণ ছাড়া কী আছে এই পাহাড়ে!
এই সংশয়-সম্ভাবনার প্রকৃত তথ্য জানতে বড়াইল পাহাড়ে বন্যপ্রাণী সমীক্ষায় ক্যামেরা বসানো হচ্ছে৷ কাছাড় জেলায় মারুয়াছড়ার পাহাড়চূড়ায় যে নৃমাতা মন্দির রয়েছে, সেখানে প্রথম ক্যামেরাটি লাগানো হয়েছে৷ নীচের দিকে বসেছে আরও একটি৷ মোট ৫০টি ক্যামেরায় কাছাড় জেলার ৮০ বর্গ কিমি অভয়ারণ্য ঘিরে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছে কাছাড় জেলা বন বিভাগ৷ করিমগঞ্জ, ডিমা হাসাও সহ তিন জেলায় বিস্তৃত বড়াইলের পরিসীমা ৩২৬ বর্গ কিলোমিটার৷
কাছাড়ের ডিএফও সান্নিদেও চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রথম দুইটি ক্যামেরা পাইলট হিসাবে বসানো হয়েছে৷ বাকিগুলি বসবে সায়েন্টিফিক সার্ভের পর৷ দুই-তিনদিনের মধ্যে সার্ভের টিম তৈরি হবে৷ তাঁরা কোন এলাকায় কী ধরনের প্রাণী রয়েছে, গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করবেন৷ প্রয়োজনে ইকো ডেভেলপমেন্ট কমিটি তৈরি করা হবে৷ তাদের পরামর্শে বাকি ৪৮টি ক্যামেরা বসানোর জায়গা চূড়ান্ত হবে৷ ডিএফও-র আশা, আগস্টের মধ্যে সমীক্ষা সেরে ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হবে৷ আর পুজোর আগে এই অঞ্চলের একমাত্র অভয়ারণ্যটির জীবজন্তুর প্রামাণ্য দলিল তৈরি হয়ে যাবে৷ তিনি আশাবাদী, এমন কিছু প্রাণীর কথা সামনে আসবে, যাদের সম্বন্ধে এখনও জানাই যায়নি৷ কারণ বড়াইলের গভীর অরণ্য এখনও নগর যন্ত্রণা থেকে অনেকটাই দূরে৷
সান্নিদেও চৌধুরী বলেন, ৫০ ক্যামেরা কাজ শুরু করলে আরও কিছু পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের৷ পাহাড়ের বুকে কয়েকটি টাওয়ার নির্মাণ করে ওয়াইল্ডলাইফ ট্যুরিজমেরও কথাও ভাবছেন তাঁরা৷ তবে ক্যামেরা বা টাওয়ার, কোনও কিছুর জন্যই অর্থ বরাদ্দ হয়নি৷ ডিএফও চৌধুরীর কথায়, তবু তিনি চাইছেন, টেনেটুনে ক্যামেরা ট্র্যাপিঙের কাজটি এখনই সেরে নিতে৷