NE UpdatesHappeningsBreaking News
নগাঁওয়ে পুলিশের এনকাউন্টার, তীব্র প্রতিক্রিয়া, তদন্তে কমিশন গঠন
ওয়েটুবরাক, ২৩ জানুয়ারি : নগাঁওয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাক্তন ছাত্রনেতার জখম হওয়ার ঘটনায় রাজ্য জুড়ে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে৷ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন নগাঁওয়ের অসংখ্য মানুষ৷ সরকার ও পুলিশের সমালোচনায় মুখর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল৷ মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই ঘটনার তদন্তে এক সদস্যের কমিশন গঠন করেছেন৷ অতিরিক্ত মুখ্য সচিব পবনকুমার বরঠাকুরকে তদন্ত করে সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলেছেন৷
শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ নগাঁও মহাবিদ্যালয় ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কীর্তিকমল বরাকে গুলিবিদ্ধ করে৷ তাঁর ডান পায়ে গুলি লেগেছে৷ এর আগে তাঁকে বেদম পিটিয়েছে পুলিশ৷ গুলিবিদ্ধ কীর্তি বর্তমানে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন৷ পরিবারেরর সদস্যদের অভিযোগ, নগাঁওয়ে পুলিশ দুই যুবককে মারপিট করছিল৷ ওই পথেই তখন যাচ্ছিলেন কীর্তি৷ তিনি এমন মারপিটের কারণ জিজ্ঞেস করতেই পুলিশ তাঁর ওপরই চড়াও হয়৷ শুরু করে কিলঘুসি, লাঠিপেটা৷ পরে এক পুলিশকর্মী খুব কাছে থেকে তার ডান পায়ে গুলি চালায়৷ যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকলে তাকে প্রথমে নগাঁও সিভিল হাসপাতালে ও পরে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়৷
মেডিক্যালের অধ্যক্ষ অভিজিৎ শর্মা জানান, নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে কোভিড টেস্ট করাতে হয়৷ ধরা পড়ে তিনি পজিটিভ৷ তাই তাঁকে কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে৷ অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন হতে পারে৷
রবিবার সকাল থেকে নগাঁও শহরে বিক্ষোভ চলতে থাকে৷ একদল জনতা থানা ঘেরাও করেন৷ প্রতিবাদী জনতার দাবি, পুলিশ সুপার আনন্দ শর্মাকে সাসপেন্ড করতে হবে৷ দোষী পুলিশদের গ্রেফতার করতে হবে৷
এনকাউন্টারের বিরুদ্ধ সরব হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রদ্যোৎ বরদলৈ ও পরিষদীয় দলের উপনেতা রকিবুল হোসেন৷ রাইজর দলের সভাপতি বিধায়ক অখিল গগৈ এবং অসম জাতীয় পরিষদের সভাপতি লুরিনজ্যোতি গগৈও প্রতিবাদে সরব হন৷ পৃথক ভাবে তাঁরা বলেন, আসামে এখন আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই৷ জঙ্গলের রাজত্ব কায়েম হয়েছে৷ পুলিশ কথায় কথায় গুলি চালিয়ে দিচ্ছে৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি আজও বলেছি, নিরীহ মানুষের ত্রাণকর্তা হতে হবে পুলিশকে৷ পাশাপাশি মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোরতর ব্যবস্থা নিতে হবে৷ গুলিচালনার ঘটনার পুরো টিমটিকে সাতদিনের জন্য রিজার্ভে ক্লোজ করা হয়েছে৷ কমিশনের রিপোর্ট জমা না পড়া পর্যন্ত তাঁদের ডিউটি দেওয়া হবে না৷ পরে দোষী প্রমাণিত হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷”