NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking NewsFeature Story
ধলাখাল স্কুলের সাইনবোর্ড বদলে চলছে মিজোরামের এলপি
ওয়েটুবরাক, ২২ ডিসেম্বর : কাছাড়ের ধলাখাল নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় মিজোরাম দখল করে নিয়েছে৷ ২০২০ সালের অক্টোবরে অসমের এই স্কুলেই বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল। ঘটনার পরদিনই সেখানে ছুটে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের স্পেশাল ডিজি, জেলাশাসক, ডিআইজি, পুলিশ সুপাররা। বিস্ফোরণের জেরে মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছিল তখনকার মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং শিক্ষামন্ত্রী (বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী) হিমন্ত বিশ্ব শর্মার ছবি। সেই স্কুল কাগজেপত্রে এখনও অসমে। কিন্তু বাস্তবে সেটি এখন মিজোরামের এসভি এলপি স্কুল। বিস্ফোরণের কয়েক মাস পরে দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে গুলি বিনিময় হলে অসমের ছয়জন প্রাণ হারান। সে থেকেই অসম-মিজোরাম সীমা সংলগ্ন স্কুলটিতে ছাত্র-শিক্ষকদের আসা-যাওয়া বন্ধ। এর কিছুদিন পরে মিজোরাম শিক্ষা দফতর সাইনবোর্ড বদলে সেখানে নতুন স্কুল শুরু করে। তাদের দাবি, এসভি এলপি স্কুল ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠা হয়েছে। অন্যদিকে কাছাড় জেলার রেকর্ডে ধলাখাল এলপি স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭১ সালে।
বিষয়টি বুধবার বিধানসভায় তোলেন করিমগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ। তিনি বলেন, বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মিজোরাম অসমের একটি স্কুল দখল করে রেখেছে। রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাঁর অভিযোগ, অসমের মাটি সুরক্ষার স্লোগান তোলে বিজেপি সরকার গড়ে, কিন্তু পরে আর সুরক্ষার কথা ভাবে না। বরং তুলে দেয় প্রতিবেশীদের হাতে৷
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অসমের স্কুল মিজোরাম দখল করে রাখার অভিযোগ স্বীকার করে নেন। অধিবেশনে জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুই রাজ্যের মধ্যে সীমা-স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের আগেই ওই অঞ্চল মিজোরাম দখল করে রাখায় এখনই সেখানে আর অসমের পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়। অসম আলোচনার ভিত্তিতে সীমাবিবাদ মেটানোর পক্ষপাতী এবং ওই লক্ষ্যেই তাঁর সরকার এগোচ্ছে বলে তিনি জানান।