Barak UpdatesHappeningsBreaking News

ত্রুটি মেনে নিল স্বাস্থ্য বিভাগ, মেডিক্যাল কলেজ দেখাল যুক্তি

৫ আগস্ট: মঙ্গলবার দুটি ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক চর্চা চলে৷ সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়৷ আন্দোলনে সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনগুলি৷ এর একটি হল কলেজ পড়ুয়া মাশুক আহমেদের মৃত্যু৷ দ্বিতীয়টি এনআইটি অধ্যাপকের সপরিবারে নির্জলা উপবাস কাটাতে বাধ্য করা৷ দ্বিতীয় ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগ অবশ্য নিজেদের ত্রুটি স্বীকার করে নিয়েছে৷ বুধবার ডিএমই সুমন চৌধুরী বলেন, সরলা বিড়লা স্কুলে মঙ্গলবারই নতুন একটি কোভিড কেয়ার সেন্টার চালু হয়৷ ওই জন্যই কিছুটা সমস্যা হয়েছিল৷ সেখান থেকে তাঁরা যে কিছুটা শিক্ষা নিয়েছেন, তাও বলেন সুমনবাবু৷ বৃহস্পতিবার থেকে দুপুরে যারা টেস্ট করাবেন, পজিটিভ হলে তাদের হালকা খাবার দেওয়া হবে৷

কিন্তু মাশুক আহমেদের মৃত্যু নিয়ে মেডিক্যাল কলেজের গাফিলতির অভিযোগ মানতে চাইলেন না মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ৷ মুখপাত্র তথা ডেপুটি সুপার ডা. প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ২১ বছরের মাশুক আহমেদ লস্করকে ২ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টায় মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তার৷ এ আসলে ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা৷ কোভিড স্ক্রিনিং সেন্টারেই তাঁর জরুরি চিকিৎসা শুরু হয়৷ সেন্টারের অবজারভেশন রুমে বেড না থাকায় মাশুককে সারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল৷ ততক্ষণে রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে তাকে নেগেটিভ দেখায়৷ কিন্তু মাশুকের তাপমাত্রা বেড়ে যায়৷ অক্সিজেনেরও সমস্যা দেখা হয়৷

প্রসেনজিতবাবু জানান, দ্রুত তাঁকে অ্যান্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল৷ মাস্ক লাগিয়ে অক্সিজেনও দেওয়া হয়৷ ডাক্তাররা সময়ে সময়ে তাঁকে দেখতে যান এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন৷ কিন্তু পরদিন বিকালে তার রক্তচাপ ক্রমে কমতে থাকে৷ তখন সেপটিক শক ধরে নিয়ে ওষুধ দেওয়া হয়৷ কিন্তু সাড়া মেলেনি৷ প্রসেনজিতবাবুর দাবি, সমস্ত চেষ্টা সত্ত্বেও মাশুক ৪ আগস্ট সকাল ৭ টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker