NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে এলেন ৬৯ বছরের সিদ্দেক আলি
১১ জুন: অসহায় নিরক্ষর গরিব মানুষ৷ হাতিখালির সিদ্দেক আলির দুই বছর ডিটেনশন ক্যাম্পে কাটানোর ওইটাই কারণ৷ করোনার দৌলতে সুপ্রিমকোর্টের রায়ে বৃহস্পতিবার শিলচর সেন্ট্রাল জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন৷
৬৯ বছরের বৃদ্ধ সিদ্দেক আলি দিনমজুরি করতেন। ১৯৬৫ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নিজের নাম রয়েছে। তখন তাঁরা কাটলিছড়ায় থাকতেন৷ ১৯৯৭, ২০০৫ এবং ২০১৬ সালের ভোটার তালিকায়ও তাঁর নাম আছে।
শেষে কর্মসূত্রে চলে যান ডিমা হাসাও জেলার হাতিখালি। থাকেন এক ভাড়াবাড়িতে৷ গ্রেফতারের মাসখানেক আগে সেই ভাড়াবাড়ির দেওয়ালে নোটিশ সেঁটে যায় পুলিশ। নিরক্ষর সিদ্দেক ও স্ত্রী রাবেয়া বেগম একে গুরুত্ব দেননি৷ এ আসলে ছিল নাগরিকত্বের নথি নিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার সমন৷ ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল একতরফা রায়ে সিদ্দেককে বিদেশি ঘোষণা করে৷ সে কথা সিদ্দেক জানলেন দুইমাস পরে ৫ জুন তারিখে৷ সেদিনই পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে সোজা ঢুকিয়ে দেয় শিলচর ডিটেনশন ক্যাম্পে।
অশিক্ষা, দারিদ্র, দূরত্বের জন্য সুপ্রিম কোর্টের করোনা-রায়ের কথা জানতে পারেননি রাবেয়া৷ শেষে পাশে দাঁড়ান সমাজকর্মী কমল চক্রবর্তী৷ তিনি বলেন, শুধু সিদ্দেক আলিই নন, ডিটেনশন ক্যাম্পের ৯৫ শতাংশই ভারতীয়। ছলে-বলে-কৌশলে তাদের ধরে ‘বিদেশি’ বানানো হয়। কোথাও আইনজীবীদের গাফিলতি, কোথাও একতরফা রায়ের দরুন তাদের জেল খাটতে হয়৷ তিনি অহেতুক বিদেশি ধরার অভিযান বন্ধ করে গোয়ালপাড়ার ডিটেনশন ক্যাম্পটিকে হাসপাতাল বানাতে সরকারের কাছে আর্জি জানান৷