Barak UpdatesBreaking News
ট্রেন চললেও বরাক বনধে ভাল সাড়াBarak Bandh receives good response
২২ নভেম্বর : কাগজ কল বাঁচানোর দাবিতে বরাক বনধে সাতসকালেই ভাল সাড়া দেখা গেছে। সকালে শিলচর শহরের চিত্র দেখে এ কথা স্পষ্ট যে, সাধারণ মানুষ পেপার মিল বাঁচাও আন্দোলনে শামিল রয়েছেন। পুরো রাস্তাঘাট ফাঁকা, দোকানপাট বন্ধ, অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া বাকি সবকিছুই অচল।
তবে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হলেও রেল পরিষেবা অন্যদিনের মতোই ছিল। সকালে ট্রেন আটকাতে বেশ কয়েকজন পিকেটারকে স্টেশনে দেখা গেলেও প্রচুর সংখ্যক নিরাপত্তা রক্ষীর বিপরীতে এই সংখ্যা যথেষ্ট কমই ছিল। বনধ আহবানকারী সংগঠন এইচপিসি পেপার মিল রিভাইভেল অ্যাকশন কমিটির সদস্যরা সকাল ৬টা থেকেই স্টেশন চত্বরে জমায়েত হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। ছিলেন বনধ সমর্থনকারী অন্য দু’একটি সংগঠনের সদস্যরাও। তাছাড়া কাগজ কল কর্মীদের পরিবারের সদস্যরাও সেখানে হাজির ছিলেন।
শিলচর থেকে মহিশাষনের ট্রেনটি ছাড়ার সময় রেললাইন আটকে স্লোগান দিতে থাকেন পিকেটাররা। একই চিত্র ছিল শিলচর-গুয়াহাটি ট্রেনের বেলায়ও। পরে নিরাপত্তা বাহিনী পিকেটারদের গ্রেফতার করে অস্থায়ী জেলে নিয়ে যায়।
স্টেশনে প্রচুর পুলিশ ও সিআরপিএফ বাহিনী নিয়ে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সদর ডিএসপি, সদর ওসি সহ অন্য পুলিশ আধিকারিকরা। এরপর শিলচর-আগরতলা যাত্রীবাহী ট্রেন ছাড়ার সময় অবশ্য কোনও বাধা আসেনি।
এ দিন শিলচর রেল স্টেশনে গ্রেফতার হন অ্যাকশন কমিটির মুখ্য আহবায়ক মানবেন্দ্র চক্রবর্তী, সিপিআই নেতা রফিক আহমেদ প্রমুখ। ইন্ডিয়া ক্লাব পয়েন্ট, দেবদূত পয়েন্ট, ক্যাপিটাল পয়েন্ট, প্রেমতলা, রাঙ্গিরখাড়ি ইত্যাদি স্থানে সকালে কিছু কিছু পিকেটার দেখা গেলেও তাদের বনধ সমর্থনে কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
সকালে দেবদূত সংলগ্ন স্ট্যান্ডে কোনও গাড়ি ছিল না। শহর থেকে শহরতলীর দিকেও কোনও গাড়ি ছাড়েনি। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা। বিশেষ করে নাইট সুপার বা বিমানে যারা এসেছেন, তাঁদের মালপত্র টেনে টেনে বাড়িমুখো হতে হয়েছে। তবে সকালে ফুটপাতে যারা ব্যবসা করেন, তাঁদের বিকিবাট্টা মন্দ হয়নি।