Barak UpdatesHappeningsBreaking News

জেলা প্রশাসনের হাতেই থাকুক কলেজিয়েট স্কুলের পরিচালনভার, চান একাংশ অভিভাবক

ওয়েটুবরাক, ১৬ অক্টোবর : এখন আর শিক্ষক বনাম অভিভাবক নয়৷ শিলচর কলেজিয়েট স্কুলে কয়েক বছর ধরেই চলছে শিক্ষক বনাম শিক্ষক এবং অভিভাবক বনাম অভিভাবকদের লড়াই৷ দুই পক্ষেই আবার শিক্ষক-অভিভাবক মিলেমিশে একাকার৷ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, জেলা প্রশাসনকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে৷ দাবিদার দুই পরিচালন সমিতিকেই ভেঙে দিয়ে স্কুলের পরিচালন ভার নিজের হাতে রেখে দায়িত্ব দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট হিমাশ্রী ডেকাকে৷ একে ঘিরেও দুই পক্ষ সরব৷ আগের দিন এক পক্ষ বলেন, নিজেদের সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষমতা জেলা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া বোকামি ছাড়া কিছুই নয়৷ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জেলাশাসক হস্তক্ষেপ করতে পারেন না৷ একে বেআইনি বলেও উল্লেখ করেছিলেন তাঁরা৷

শনিবার আর এক আর পক্ষ সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বলেন, জেলাশাসক বেআইনি কিছু করছেন বলে মনে করলে তাঁরা আদালতে যাচ্ছেন না কেন? তাঁদের কথায়, স্কুলে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যে জেলাশাসকের হস্তক্ষেপ ছাড়া উপায় ছিল না৷ তা মোটেও বেআইনি নয়৷ কারণ স্কুল পরিচালনার সংবিধানেই উল্লেখ করা হয়েছে, জটিল সমস্যা দেখা দিলে জেলাশাসকের কাছে যাওয়া যেতে পারে৷ ফলে যিনিই বিষয়টি জেলাশাসকের নজরে নিয়েছেন, সংবিধান মেনেই নিয়েছেন৷ জেলাশাসকের নজরে নেওয়া মানেই তাঁকে ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার দেওয়া৷ ফলে তিনি ব্যবস্থা নিয়েছেন৷ এ বেআইনি হতে পারে না৷ তাঁদের দাবি, অব্যবস্থার নিরসনে কিছুদিন জেলা প্রশাসনের হাতেই ক্ষমতা থাকুক৷ তাঁরা বলেন, সমস্ত বিবাদের মূলে রয়েছে অর্থকড়ি৷ তাই ফি অনলাইন করা হোক, হিসাবনিকাশে কড়া নিরীক্ষণ হোক, তাহলেই বহু সমস্যার সমাধান মিলবে৷

শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত রায়, সালেক আহমেদ লস্কর, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, পূরবী রায়, কণিকা মালাকার প্রমুখ৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker