NE UpdatesIndia & World UpdatesHappeningsBreaking News
কোটি কোটি টাকা তছরূপ ! প্রতীক হাজেলার বিরুদ্ধে আরেক মামলা দেবশর্মার
ওয়েটুবরাক, ১৫ জুন : এনআরসির প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলার বিরুদ্ধে আরও এক মামলা দায়ের করলেন বর্তমান কো-অর্ডিনেটর হিতেশ দেবশর্মা৷ তাঁর অভিযোগ, হাজেলা বেআইনিভাবে প্রচুর সরকারি অর্থ ব্যয় করেছেন, নানা জায়গায় অপব্যয় করেছেন ৷ এর দরুন কোটি কোটি টাকার সরকারি তহবিল অপচয় হয়েছে৷ অডিট রিপোর্টের উল্লেখ করে দেবশর্মা জানান, ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের পারিতোষিক বরাদ্দ ছিল মাসিক ১৪৫০০ টাকা থেকে ১৭৫০০ টাকা৷ কিন্তু চার বছর ধরে তাদের প্রতি মাসে ৫৫০০ টাকা থেকে ৯১০০ টাকা দেওয়া হচ্ছিল৷ এনআরসির ঠিকা ভিত্তিক কর্মচারীদের জন্য ১৫৫ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল৷ এর একটা বড় অংশই হাফিস হয়ে গেছে৷ এ ছাড়া থার্ড পার্টি মনিটরিং কনসালটেন্টের নামে ১০ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ের উল্লেখ রয়েছে৷ একে অপ্রয়োজনীয় এবং সরকারি অর্থের অপচয় বলেই মামলায় উল্লেখ করেছেন তিনি৷
হাজেলাকে দুর্নীতিতে জড়িত বলে স্পষ্ট উল্লেখ করার পাশাপাশি দেবশর্মা মামলায় আরও দুইজনের নাম টেনে এনেছেন৷ তারা হলেন প্রলয় শীল এবং রাজেশ জৈন৷ প্রলয় শীল না কোনও সরকারি কর্মচারী না ঠিকাদার৷ কিন্তু এনআরসির সমস্ত কাজে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তাকেই দেখা যেত, অবৈধভাবে সব কিছুতে হস্তক্ষেপ করতেন৷ রাজেশ ছিলেন থার্ড পার্টি মনিটরিং কনসালটেন্ট৷ এনআরসির কাজে এই ধরনের কনসালটেন্টের কোনও প্রয়োজনই ছিল না বলে অভিমত দেবশর্মার৷
হাজেলার বিরুদ্ধে তাঁর আরও এক গুরুতর অভিযোগ, এনআরসি নবায়নের কাজে সিস্টেম ইন্টিগ্রেটরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল উইপ্রো নামে এক কোম্পানিকে৷ তাদের দায়িত্ব ছিল ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিযুক্তি৷ শর্ত ছিল, এনআরসির মত কাজে সিস্টেম ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার সলিউশন ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্নে কোনও সাব-কন্ট্রাক্ট দেওয়া চলবে না৷ এর পরও জরুরি হয়ে পড়লে সাব-কন্ট্রাক্ট দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি নিতে হবে৷ কিন্তু উইপ্রো অনুমোদন ছাড়াই যাবতীয় ক্ষেত্রে সাব-কন্ট্রাক্ট দিয়েছেন৷
পুলিশের ভিজিল্যান্স অ্যান্ড অ্যান্টি করাপশন শাখাকে বর্তমান স্টেট কো-অর্ডিনেটরের পরামর্শ, প্রলয়-রাজেশদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে এনআরসির দুর্নীতি এবং আর্থিক কেলেঙ্কারির আরও বহু তথ্য জানা যাবে৷