Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কালাম ইনস্টিটিউটের বার্ষিক অনুষ্ঠানে উজ্জ্বল তিন কৃতি
ওয়েটুবরাক, ২৫ জুলাই : শিলচরের ড. কালাম ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড এডুকেশনের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় বৃহস্পতিবার। প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে গান্ধী ভবনে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন শিলচর এনআইটির অধ্যাপক পীষূষকান্তি দে, গুরুচরণ কলেজের অধ্যক্ষ ড. বিভাস দেব, ইন্সটিটিউটের ফেকাল্টি সব্যসাচী দাস, সুপ্রতীক রায় প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ড. বিভাস দেব ভারতরত্ন ড. আব্দুল কালামের জীবনী তুলে ধরে তাঁর আদর্শ অনুসরণের জন্য পড়ুয়াদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি জানান, ড. কালাম ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড এডুকেশন ছাত্রছাত্রী গড়ার কাজে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। এখান থেকে পড়ুয়ারা ভারতের বিভিন্ন স্থানে উচ্চ শিক্ষা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এদিন বিভাসবাবু প্রসঙ্গক্রমে গুরুচরণ কলেজের কথা উল্লেখ করে বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে এই কলেজ প্রতিনিয়ত উন্নতি করছে। বর্তমানে একে আপগ্রেড করে স্টেট ইউনিভার্সিটি করা হচ্ছে। জিসি কলেজের ইতিহাস টেনে বিভাসবাবু জানান, মাত্র ১২ জন ছাত্র এবং ৩ জন শিক্ষক নিয়ে রংপুরে চালু হয়েছিল এই কলেজ। বর্তমানে জিসি কলেজে ৬ হাজারের অধিক ছাত্র এবং ৯৩ জন শিক্ষক ছাড়াও ৫টি রিচার্স সেন্টার সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা রয়েছে। কালাম ইন্সটিটিউটও একসময় মহিরুহে পরিণত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক পীষূষকান্তি দে বলেন, ২০১৭ সালে স্থাপিত হওয়ার সময় ড. কালাম ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড এডুকেশনের ছাত্র সংখ্যা ছিল মাত্র ১৬ জন। বর্তমানে এই ইনস্টিটিউটে ২০০-র অধিক ছাত্র পড়াশোনা করছে। এই ইনস্টিটিউটে খুব ভালো অঙ্ক পড়ানো হয়। যার সুফল পেয়ে অনেকে দেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে। তিনি আরও বলেন, একজন ভাল ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে অঙ্কের উপর ভালো দখল থাকতে হবে। মা হচ্ছেন প্রথম এবং প্রধান শিক্ষক, তাই সবসময় মাকে শ্রদ্ধা করতে ছাত্রদের পরামর্শ দেন তিনি। অনুষ্ঠানে এই ইন্সটিটিউট গড়ে তোলার কাহিনি তুলে ধরেন সুপ্রতীক রায়।
সন্ধ্যার দ্বিতীয় পর্বে কৃতি তিন পড়ুয়া ও ফেকাল্টি সদস্যদের নিয়ে একটি টক-শো অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিজেদের পড়াশোনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আলোকপাত করে এবারের ইন্ডিয়ান স্টেটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউটের সর্বভারতীয় এন্ট্রাসে ৪৯-তম স্থান দখলকারী শুভদীপ রায়, বাইশের জেইই স্কলার তথা আইআইটি বোম্বের পড়ুয়া অর্চিষ্মান ভট্টাচার্য এবং একুশের জেইই স্কলার তথা আইআইটি খড়গপুরের পড়ুয়া শাশ্বত বণিক। এরা সবাই কালাম ইন্সটিটিউটের রেগুলার পড়ুয়া ছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্রদের প্রশ্নেরও জবাব দেয় এই কৃতিরা।
অনুষ্ঠানে সায়েন্স অলিম্পিয়াড ফাউন্ডেশনের এবছরের বিজ্ঞান ও গণিত পরীক্ষায় বিভিন্ন স্থানাধিকারীদের পদক এবং শংসাপত্র তুলে দেন অতিথিরা। উল্লেখ্য, কালাম ইন্সটিটিউট এবারই প্রথম অলিম্পিয়াড ফাউন্ডেশনের স্বীকৃতি পেয়ে বিজ্ঞান ও গণিত পরীক্ষা গ্রহণ করে। আর প্রথম বছরেই উল্লেখযোগ্য সাফল্য লাভ করেছে।