Barak UpdatesHappeningsBreaking NewsFeature Story

করোনাসুর ছাড়িয়ে মহাসপ্তমীতে বর্ষণাসুর

২৩ অক্টোবর: মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়কদের পুজো ব্যস্ততা একেবারেই নেই৷ ফিতা কেটে মণ্ডপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উঠে গিয়েছে এ বার৷ একই কারণে বাড়তি দৌড়ঝাঁপ নেই মহারাজ বা সাধুসন্তদের৷ দর্শক টানার প্রতিযোগিতা থেকে বহু দূরে সমস্ত পূজা কমিটি৷

বরাক উপত্যকায় সবচেয়ে বড় বাজেটের পুজো হয় উধারবন্দ কালীবাড়ি রোডে৷ ৫০ লক্ষ টাকার বাজেট হাতে পুজোয় নামেন তাঁরা৷ এ বার ৩ লক্ষ৷ একই অবস্থা অম্বিকাপুর পূর্ব পাড়া হাসপাতাল রোড পূজা কমিটির৷ সম্পাদক তমাল বণিক জানান, গত বছর ২৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল৷ এই বছর ১ লক্ষেই সেরে নেওয়া যাবে৷ অস্থায়ী মণ্ডপে নিষেধাজ্ঞার দরুন পূজা হচ্ছে এলাকারই এক বিবাহ ভবনে৷ তমালের কথায়, খরচ আর কী! মণ্ডপ, আলোকসজ্জা, প্রসাদ কিছুই তো নেই৷

৫০ বছরের পূজায় চমক দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল দক্ষিণ বিলপার সর্বজনীন পূজা কমিটির৷ গত বছরের বিসর্জনের পরই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল৷ ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় কর্মকর্তারা জানালেন, সব তোলা রইল ৫১-র জন্য৷ এ বার কোনও ক্রমে সেরে নেওয়া৷
কোনওক্রমে সেরে নিতে চাইছেন তারাপুর কালীমোহন রোড সর্বজনীন পূজা কমিটিও৷ তবে প্রতিমায় তাঁরা আপস করতে নারাজ৷ বললেন, চাঁদা বলতে গেলে তোলাই হয়নি৷ তবু শিল্পী স্বপন পাল প্রতিমা গড়েছেন অন্য বছরেরই মত৷

শিলচর শহরে প্রতিমায় অভিনবত্ব আনে অল মেডিক্যাল সেলস পিপল পূজা কমিটি৷ কর্মকর্তা মিঠুন রায় বললেন, করোনার তাণ্ডবে এ বার আর কিছু ভাববার অবকাশ মেলেনি৷ অমুকের আদলে মণ্ডপ, তমুক ধাচের প্রতিমা করোনা আবহে এ সব দাবি উধাও৷ সবার একটাই দাবি, কোভিড প্রটোকল মেনে পূজা হচ্ছে৷ রয়েছে থার্মাল স্ক্যানার, স্যানিটাইজার৷ কিন্তু করোনাসুরের সঙ্গে ষষ্ঠীর সন্ধ্যাতেই হাজির বর্ষণাসুর৷ মহাসপ্তমীতে দিনভর বৃষ্টি৷ তাও ইলশেগুড়ি বা হালকা বর্ষণ নয়, ফাঁকে ফাঁকেই ঢল নামছে৷ আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এ ভাবেই কাটবে নবমী পর্যন্ত৷ আশ্বস্ত স্বাস্থ্যকর্তারা৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker