Barak UpdatesBreaking News
এনআরসি-তে বিয়ে ভাঙাঃ উদ্ধারের পর পাত্র পক্ষকেই বেছে নিলেন পাত্রী
২১ আগস্টঃ উদ্ধার করা হল বেরেঙ্গা কাণ্ডের পাত্রী সাহানা বেগম বড়ভুইয়াকে। তার খোঁজ পেয়েই বুধবার উধারবন্দের নতুন দয়াপুরে পুলিশ অভিযান চালায়। তাকে সেখান থেকে এনে আদালতে তোলে। কিন্তু উদ্ধারের পর বারবার সে এককথাই বলছে, ‘এনআরসি-তে নাম থাক বা না থাক, আমি দিলোয়ারকে ভালবাসি।
দুই বছরের সম্পর্ক আমাদের। আমি তাঁর সঙ্গেই বাকি জীবন কাটাতে চাই।’ বিচারক জাহ্নবী দেবী তাই তাঁকে ব্যক্তিগত জামিনে ছেড়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ বার যেখানে ইচ্ছে যেতে পারেন শুনে সাহানা পাত্রপক্ষকেই বেছে নেন। বাবা কুতুবউদ্দিন বড়ভুইয়া আশেপাশে ঘোরাফেরা করলেও মেয়ে একবারও তাঁর দিকে তাকাননি।
পাত্র দিলোয়ারের নাম এনআরসি-র খসড়ায় না থাকার দরুন মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা পাকা হয়ে গেলেও তা খারিজ করে কুতুবউদ্দিন। এর পরদিনই প্রতিবেশী দিলোয়ার-সাহানা পালিয়ে যায়। কুতুবউদ্দিন দিলোয়ার সহ তিনজনের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করেন। সাহানা আজ তা অস্বীকার করে জানিয়ে দেয়, স্বেচ্ছায় সে দিলোয়ারের সঙ্গে বেরিয়ে পড়েছে।
শেষদিকে কুতুবউদ্দিন ভেঙে পড়লেও তাঁর আত্মীয়দের অনেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এই ঘটনা এখানেই শেষ নয়। দিলোয়ার যে বাংলাদেশি, তা কিছুদিনের মধ্যে প্রমাণ হয়ে যাবে। দিলোয়ারের পক্ষের দাবি, এনআরসি নিয়ে তাঁরা মোটেও ভাবছেন না। অনেকেরই নাম প্রথম বা দ্বিতীয় খসড়ায় ওঠেনি। পরে দাবি জানিয়ে নথিপত্র পুনঃপরীক্ষা করিয়েছেন। দিলোয়ারও তা-ই করেছেন। ১৯৭১-র আগের প্রচুর নথি তাঁদের হাতে রয়েছে। ফলে ৩১ আগস্ট তাঁর নাম না থাকার কোনও কারণ নেই।