NE UpdatesHappeningsBreaking News
আসামে পূজাসজ্জা নষ্টের প্রতিবাদ বিডিএফের
ওয়েটুবরাক, ২৪ অক্টোবরঃ নগাঁও, বিশ্বনাথ, ডিব্রুগড়, গুয়াহাটির বশিষ্ঠ সহ আসামের বিভিন্ন স্থানে দুর্গাপূজায় মণ্ডপের তোরণে বাংলাভাষা ব্যবহারের বিরুদ্ধে আসু ও বীর লাচিত সেনার উগ্র অসমিয়া সংগঠনগুলি যে আচরণ করেছে, এর নিন্দা জানিয়েছে বরাক ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (বিডিএফ)। মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন, স্থানে স্থানে ব্যানার, ফ্লেক্স খুলে পূজার সজ্জা নষ্ট করা হয়েছে। অথচ সরকার নীরব। তিনি বিজেপি সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে কটাক্ষ করে বলেন, সনাতনী সংস্কৃতির কথা যাঁরা বলেন, তাঁরা এখন কোথায়? দুর্গাপূজা মণ্ডপের সাজসজ্জা নষ্ট করে কোন সনাতনী সংস্কৃতি রক্ষা হচ্ছে? তাঁর কথায়, বাংলাদেশেও এ বার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুজো নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য সরকার ও সংগঠনের তৃণমূল স্তর পর্যন্ত নির্দেশ দিয়েছেন। এর দরুন মুসলমান অধ্যুষিত দেশেও পূজা সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। কিন্তু বিজেপি শাসিত ভারতের বিজেপি শাসিত রাজ্য আসামে দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে করা যায়নি। পৃথিবীর মধ্যে এ বার একমাত্র আসামেই দুর্গাপূজার সময় মণ্ডপে হামলা হল, সাজসজ্জা নষ্ট করা হল।
দত্তরায় বলেন, বীর লাচিত সেনা ও আসুর অবস্থা দেখে তাদের প্রতি করুণা হয়। এমনই দুর্দশা তাদের, এমনই নেতৃত্বের দীনতা যে, পূজামণ্ডপে হানা দিয়ে তাদের প্রচারে আসতে হচ্ছে। তিনি আশাবাদী, হুমকির ভয়ে প্রকাশ্যে না পারলেও মনের দিক থেকে এ বার ব্রহ্মপুত্রের বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ হবেন।
দত্তরায় বীর লাচিত সেনা ও আসুকে স্মরণ করিয়ে দেন, বাঙালি অস্ত্র ধরতেও জানে। এর উদাহরণ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। তিনি অন্য দেশে বসে নিজের দেশের কাউকে খুন করেননি, আজাদ হিন্দ বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়ে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে সামনে থেকে লড়াই করেছেন। বাঙালি প্রাণ দিতেও জানে, আন্দামানে ঘুরে এলেই এর প্রমাণ মেলে। দেশের জন্য যত স্বাধীনতা সংগ্রামী শহিদ হয়েছেন, সেলুলার জেলে বন্দিজীবন কাটিয়েছেন, তাদের অধিকাংশ বাঙালি। তিনি শোনান, বাঙালির তিনজন নোবেল পুরস্কার জয়ী রয়েছেন, একজন চলচ্চিত্রে অস্কারজয়ী রয়েছেন। বাঙালির স্বামী বিবেকানন্দ বিশ্বগুরু হিসেবে বন্দিত।