Barak UpdatesHappeningsBreaking News
অজিত সিংয়ের জন্য মুখ পুড়ল কংগ্রেসের!
ওয়েটুবরাক, ২৩ মে : বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়ার নেতৃত্বে প্রদেশ কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল সোমবার কাছাড়ের বন্যাক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন৷ তাঁদের এই কর্মসূচি যথেষ্ট প্রশংসা কুড়োয়৷
কিন্তু ডলু টি এস্টেটে গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্টৈর বিরোধিতা করতে গিয়ে তাঁদের প্রতিটি মুহূর্ত চরম অস্বস্তিতে কাটাতে হয়৷ বারবার প্রশ্ন ওঠে অজিত সিংহের মউ স্বাক্ষর নিয়ে৷ শইকিয়া বলেন, এই ব্যাপারে দলের কোনও ভূমিকা নেই৷ বরাক চা শ্রমিক ইউনিয়নকে নিজেদের শাখা সংগঠন নয় বলেও ঘোষণা করেন৷ কিন্তু অজিত সিংহ মউ স্বাক্ষর করে শ্রমিকদের ভালো না মন্দ করলেন, সে প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ এমনকী সর্বদলীয় বৈঠকে দুই কংগ্রেস বিধায়ক মিসবাহুল ইসলাম ও খলিলউদ্দিন মজুমদারের সহমত প্রকাশ নিয়েও বিব্রত হতে হয় শইকিয়াকে৷ দুই বিধায়ক সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত থেকেও কোনও জবাব দিতে পারেননি৷
তবে শইকিয়া গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্টের বিরোধিতায় বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরেন৷ তিনি বলেন, বাজেটে প্রস্তাবিত বিমানবন্দরের জন্য কোনও অর্থবরাদ্দ হয়নি৷ চলতি অর্থবর্ষে মোট ২১টি নতুন বিমানবন্দরের জন্য অর্থবরাদ্দ হয়েছে৷ এর মধ্যে শিলচর বা কাছাড় জেলার উল্লেখ নেই৷ তিনি এনভায়রনমেন্ট ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন৷ জানতে চান, পরিবেশের ওপর এর প্রভাব পরিমাপ না করেই কীভাবে ৩০ লক্ষ চা গাছ উৎপাটনে বুলডোজার লাগিয়ে দিল প্রশাসন৷ এ ব্যাপারে তিনি অসম রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন৷ জেলাশাসককেও লিখেছেন৷
এই এয়ারপোর্ট নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের এখনও কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেতা শইকিয়া৷ তড়িঘড়ি চা বাগানের জমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিপূরণের অর্থপ্রদান, চা গাছ উপড়ে ফেলার পেছনে বড় ধরনের কোনও রহস্য রয়েছে, সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি৷ তাঁদের কথায়, শিলচরে একটি অসামরিক বিমানবন্দর প্রয়োজন, এ অনস্বীকার্য৷ তাই বলে অনিয়ম করে এমন প্রকল্পের কাজ এগোবে, তা মানা যায় না৷
নুমলিগড় রিফাইনারি সম্প্রসারণ প্রকল্পের উদাহরণ টেনে শইকিয়া জানান, সেখানে একটি চা বাগানের ৬০০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে৷ সে জন্য ১৫৬জন স্থায়ী শ্রমিককে পাঁচ লক্ষ টাকা করে এবং ২২২ জন অস্থায়ী শ্রমিককে আড়াই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে৷ রিফাইনারি তাঁদের মধ্য থেকে ৫০ জনকে স্থায়ী এবং ৫০ জনকে অস্থায়ী শ্রমিক পদে নিয়োগ করা হচ্ছে৷ কিন্তু ডলুর চা শ্রমিকরা কথা বলতে চাইলেই ১৪৪ ধারা জারি করে তাদের ঘরে আটকে রাখা হয়৷ বিরোধী নেতাদের কাউকে তাদের সঙ্গে কথা বলতে দিচ্ছে না৷ তাঁরা কথা বলতে চাইলে নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আরও পাঁচ বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, খলিলউদ্দিন মজুমদার, মিসবাহুল ইসলাম লস্কর, ভাস্কর বরুয়া ও নুরুল হোসেন৷ ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব ভট্টাচার্য, সহ-সভাপতি শরিফুজ্জামান লস্কর, সম্পাদক সঞ্জীব রায় এবং জেলা কংগ্রেস সভাপতি তমালকান্তি বণিক৷