Barak UpdatesHappeningsBreaking News

মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই মিললেও দুর্বুদ্ধি যায়নি হিফজুরের

ওয়েটুবরাক, ১১ মে : ২০১১ সালের ২০ নভেম্বর ফোন করে ডেকে নিয়ে অপহরণ করা হয়েছিল ভাঙ্গার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, ইউডিএফ নেতা গাজি তোফায়েল আহমেদের পুত্র আহরার আহমেদ ওরফে নাজকে৷ পরে বাড়িতে ফোন করে চল্লিশ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল৷ আলোচনার ভিত্তিতে একটা মোটা অংকের টাকা দেওয়াও হয়েছিল অপহরণকারীদের৷ কিন্তু অপহরণের পঞ্চম দিনে মনসাঙ্গন থেকে মাটি খুঁড়ে নাজের দেহ উদ্ধার করা হয়৷ পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ওই টাকা পাওয়ার আগেই খুন করা হয়ে গিয়েছিল ২০ বছর বয়সি কলেজ পড়ুয়া নাজকে৷

Rananuj

পুলিশ তদন্তক্রমে তেরোজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়৷ করিমগঞ্জ জেলা আদালত ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করে৷ বাকিদের তথ্যপ্রমাণের অভাবে নির্দোষ বলে রায় দেওয়া হয়৷ ৭ জানুয়ারি শাস্তি ঘোষণা করতে গিয়ে তৎকালীন করিমগঞ্জ জেলা ও দায়রা বিচারপতি কমলেন্দু চৌধুরী হিফজুর রহমান ও সেলিম আহমেদকে মৃত্যুদণ্ড দেন৷ দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি দুইজনকে দশ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন৷

নাজ খুনের মূল মাস্টার মাইন্ড ছিল সেলিম আহমেদ৷ পেশায় বাইক মেকানিক হিফজুর দফায় দফায় ফোন করে নাজকে বাড়ি থেকে বার করেছিল৷ তাই তাদের দুইজনকেই মৃত্যুদণ্ড শোনানো হয়েছিল৷ পরে দুইজনই হাই কোর্টে গিয়ে শাস্তি কমানোর আর্জি জানিয়েছিল৷ হাই কোর্ট মৃত্যুদণ্ড থেকে তাদের রেহাই দিয়ে যাবজ্জীবন জেলে কাটানোর নির্দেশ দেয়৷

এই রায় ঘোষণার আগেই অবশ্য ২০১২ সালের ৬ জুলাই তোফায়েল আহমেদ দুষ্কৃতীর গুলিতে বিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন৷

তবে নাজ হত্যাকাণ্ডের দায়ে মৃত্যুদণ্ড হওয়ার মুখে প্রাণ ফিরে পেলেও হিফজুরের যে দুর্বুদ্ধি যায়নি, আজকের জেল পালানোর ঘটনায় তারই প্রমাণ মিলল৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker