Barak UpdatesHappeningsBreaking News

ধর্ষণে অভিযুক্ত সঞ্জয় তেলির উপযুক্ত শাস্তি দাবি করল মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন

ওয়েটুবরাক, ৭ অক্টোবরঃ দুর্গাপূজার অষ্টমীর রাতে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ঘটনা ঘটে ডলু চা বাগানের ময়নাগড় ডিভিশনে। সঞ্জয় তেলি নামে এক যুবক এই ঘটনায় অভিযুক্ত। অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে জানিয়েছে, সঞ্জয় তাদের সংগঠনের সদস্য। ধর্ষিতা ষোড়শীর পরিবারের সদস্যরাও সক্রিয় ভাবে এই ইউনিয়নের সঙ্গে জড়িত। তাঁদের কথায়, ধর্ষণে অভিযুক্ত জেনেই সঞ্জয় তেলির সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। তাঁরা দ্রুত বিচারের মাধ্যমে অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।

এই ঘটনাকে বর্বরোচিত বলে উল্লেখ করে অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে অরিন্দম দেব ও ঝুলনমণি ভূমিজ বলেন, এমন কাণ্ডে তাঁরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তবে মেয়েটি যে সাহসিকতার সঙ্গে বিপজ্জনক পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে, বস্তা কেটে বেরিয়ে এসেছে, তার এই লড়াইকে ইউনিয়ন সম্মান জানায়।

অরিন্দম দেব বলেন, শ্রমিকদের দাবি আদায়ে মহিলাদের সংগ্রামী ভূমিকার প্রতি ইউনিয়ন শ্রদ্ধাশীল এবং মহিলাদের অধিকার আদায়ে ও আত্মসম্মান প্রতিষ্ঠায় এবং ইউনিয়ন পরিচালনায় মহিলা শ্রমিকদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় ইউনিয়ন বদ্ধপরিকর।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে ইউনিয়নের ময়নাগড় শাখার দেবকী নায়ার বলেন, অষ্টমীর রাতে সিনেমা দেখতে পূজা প্যান্ডেলে গিয়েছিল মেয়েটি। সেখান থেকে সঞ্জয় তেলি তাকে পুজো দেখার কথা বলে নিয়ে যায়। নবমীর সকাল পেরিয়ে দুপুর হতে চললেও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় উদ্বেগ বাড়তে থাকে। বেলা বারোটা নাগাদ মেয়েটি বিবস্ত্র অবস্থায় বাড়ি ফেরে। তার গলায় ছুরির কোপ, রক্ত পড়ছিল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় শিলচর মেডিক্যাল কলেজে। মেয়েটি কথা বলতে পারছিল না। লিখে জানায়, সঞ্জয় গভীর জঙ্গলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। পরে ছুরি দিয়ে গলা কাটে। রক্ত বেরোতে থাকলে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে৷ সঞ্জয় ভাবে, সে মারা গিয়েছে। তাই বস্তায় ঢুকিয়ে তাকে সেখানে ফেলে চলে আসে। নবমীর সকালে মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে দেখে, সে বস্তাবন্দি। চিৎকার করতে চাইলেও আওয়াজ বেরোচ্ছিল না। পরে আঙুল দিয়ে খুঁচিয়ে, দাঁতে কেটে বস্তা খুলে ফেলে। ফ্রক খুঁজে না পেয়ে বিবস্ত্র অবস্থাতেই দেড় কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি পৌঁছয়।সঞ্জয়কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

অরিন্দম দেব, মানস দাসরা জানান, তাঁরা মেয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তাকে এখন নাক-কান-গলা বিভাগে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। এখন সে খেতে পারছে না। তাই টিউবের মাধ্যমে তরলজাতীয় পদার্থ দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে একটা অস্ত্রোপচার হয়েছে। ধর্ষণসংক্রান্ত সমস্যায় চিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্ট নমুনা সংগ্রহ করে বোম্বাইয়ে পাঠানো হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker